॥ ইউসুফ সুমন, বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥
মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে এস্কেভেটর দিয়ে এই কয়লা অপসারণের কাজ শুরু করে মালিকপক্ষ।এর আগে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টায় পশুর নদীর চরকানা এলাকায় ‘এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১’ নামে কার্গো জাহাজ ৮০০ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায়।
কয়লা অপসারনের কাজে ”ফারহা” নামক একটি টাকবোট ও অপসারন করা কয়লা রাখার জন্য ”মা বুশরা” নামক অন্য একটি নৌযান ঘটনাস্থনে আনা হয়েছে’
জাহাজটির যৌথ মালিক মোঃ বশির হোসেন ও আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কার্গো জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ২৭ ঘন্টা পর জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেছি। কয়লা উঠানোর পর কার্গো উত্তোলনের কাজ করা হবে। কয়লা অপসারনের কাজে ”ফারহা” নামক একটি টাকবোট ও অপসারন করা কয়লা রাখার জন্য ”মা বুশরা” নামক অন্য একটি নৌযান ঘটনাস্থনে আনা হয়েছে’
তারা দাবি করেন, চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে কয়লা অপসারনসহ ‘এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী -১’ নামক জাহাজটি উত্তোলন করা সম্বভ হবে।
মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে অবস্থানরত মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী ‘এমভি দুবাই নাইট’ জাহাজ থেকে ৮০০ টন কয়লা বোঝাই করে যশোরের নোয়াপাড়া যাওয়ার সময় শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে পশুর নদীর চরকানা এলাকায় তলাফেটে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ। তবে এ ঘটনায় বন্দর চ্যানেলে জাহাজ চলাচলে স্বাভাবিক রয়েছে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কয়লা নিয়ে জাহাজ ডুবির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নুর আলম শেখ বলেন, ‘কয়লা একটি বিষক্ত ময়লা। এতে পশুর নদীর প্রাণীবৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।
নদীর প্রাণীকুলের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হবে। এছাড়া পশুর নদীর প্রাণ সুন্দরবনেরও জীববৈচিত্র্যও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে’। তাই দ্রুত সময়ে এই কয়লা অপসারণের তাগিদ দেন তিনি।