Monday , 27 January 2025

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রোগীদের খাদ্য সরবরাহে উচ্চমূল্যে টেন্ডার পেতে চক্রান্ত : ছড়ানো হচ্ছে অপতথ্য

॥ মনিরুজ্জামান মনি, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ॥

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পুরাতন দরে রোগীদের খাদ্য সরবরাহ থাকায় বর্তমান বাজারদর তুলনায় বেশী খাবার পাচ্ছেন এতে রোগী ও সরকার উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ চক্র নতুন টেন্ডার আহব্বানের মধ্য দিয়ে উচ্চমূল্যে বাজারদর দিয়ে টেন্ডার পেতে নানামূখী চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দুই নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী মানিক মোড়লের প্রশ্ন আমি চার দিন ভর্তি এখনো খাদ্য পাননি। ভর্তি সকল রোগীদের ঔষধ, বালিশ বেড শীট, চিকিৎসা সবই দেওয়া হয় তাহলে তাদের খাদ্য দেওয়া হয় না কেন ?

এনিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে চলছে অপপ্রচার। অপপ্রচার সিন্ডিকেট এরই মধ্যে হাসপাতালে রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহসহ নানা অনিয়ম দুর্ণীতির অভিযোগ তুলেছে। তবে সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন, সিভিল সার্জনসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

সিভিল সার্জন কার্যালয় ও হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পূর্ব দরপত্রে খাবার সংগ্রহ করায় রোগীরা বর্তমান বাজারদর তুলনায় খাবার বেশী পাচ্ছেন এটা সঠিক। এতে লাভবান হচ্ছেন রোগীরা। বর্তমান টেন্ডার হলে বাজারদর বেড়ে যাবে তখন রোগীদের খাবারের পরিমাণ কমে যাবে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দুই নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী মানিক মোড়লের প্রশ্ন আমি চার দিন ভর্তি এখনো খাদ্য পাননি। ভর্তি সকল রোগীদের ঔষধ, বালিশ বেড শীট, চিকিৎসা সবই দেওয়া হয় তাহলে তাদের খাদ্য দেওয়া হয় না কেন ? গরীব শ্রেণির মানুষই বেশীরভাগ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। এসব মানুষগুলো কি খাবেন ? আর ১২৫ টাকায় তিন বেলা কি খাবার হয়। দৈনিক রোগী প্রতি ২৫০ টাকা সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার দাবিও তোলেন তিনি।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার এস.এম নজরুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের দৈনিক চাহিদা মতে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন রোগীদের খাদ্য পথ্য ধোলাই, সরবরাহ করে আসছি। প্রতিপক্ষ একজন ঠিকাদার কাজটি না পাওয়ায় ব্যক্তি স্বার্থে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তার উদ্দেশ্য আমার সুনাম ক্ষুন্ন করে কাজটি কিভাবে বাগিয়ে নেওয়া যায়। আমি সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সচেতন মানুষদের সরেজমিন হাসপাতাল পরিদর্শন ও খাদ্য সরবরাহের সার্বিক কার্যক্রম বাস্তবে খতিয়ে দেখার আহব্বান জানাচ্ছি।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল আহমেদ জানান, রোগীদের দৈনিক খাদ্য তালিকা অনুযায়ী ঠিকাদারের নিকট থেকে মালামাল বুঝে নেওয়া হয়। রোগীদের নিন্ম মানের খাদ্য সরবরাহ বা পরিমাণে কম নেওয়ার সুযোগ নেই।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম জানান, নিম্নমানের বা পরিমাণে কম খাবার গ্রহণ করা হয় না। আদালতে মামলা থাকায় পূর্বের ঠিকাদার খাবার সরবরাহ করে আসছেন। আদালতে বিচারাধীন মামলাটি নিষ্পত্তির পর নতুন করে দরপত্র আহব্বান করা হবে।

Check Also

মোংলা বন্দর জেটিতে একই সাথে ৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ’র অবস্থান

॥  মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥ মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়েছে একদিনে তিনটি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ …