॥ মোক্তার হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ॥
আ সন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাইয়েদ জামিল। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাত ৯টায় রাজধানীর বাংলামোটরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
আমি বৃহত্তর পরিসরে এবং সরাসরি জনতার সঙ্গে কাজ করবার অভিপ্রায় থেকে রাজনীতিতে এসেছি। তবে পুরোনো দিনের রাজনীতিবিদদের মতো আমি আমার জনগোষ্ঠীকে কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবো না। জনগণ যদি পরিবর্তন চায়, রাষ্ট্রের সংস্কার চায়, সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব চায় তবে জনগণই আমাকে খুঁজে নেবে
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাইয়েদ জামিল জানান, গণ-অভ্যুত্থানের গর্ভ থেকে এনসিপির জন্ম হয়েছে। যে আকাঙ্খা থেকে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসকের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলাম আমাদের সেই আকাঙ্খা বাস্তবায়ন হয়নি। কেনো বাস্তবায়ন হয়নি তা আমরা সকলেই জানি। এক দস্যুর দল পালিয়ে গেছে, এখন আরেক দস্যুর দল ক্ষমতায় যেতে উদগ্রীব, লোভাতুর হয়ে আছে। রাজনীতির এই নষ্ট সংস্কৃতি বদলে দেবার আকাঙ্খা আমাদের।
আমি, আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- আমরা কালো টাকা পেশি শক্তি ও নিকৃষ্ট লোকের নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়বো। আমার বিশ^াস, দেশের জনগণ আমাদের লড়ায়ে শামিল হবে। কেনোনা এই লড়াই মুক্তিকামী জনগণেরও লড়াই।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সাইয়েদ জামিল বলেন, আমাদের সামনে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সুযোগ এসেছে। সুযোগ এসেছে আমাদের সংসদীয় আসনগুলি পুনর্গঠনের। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছরের ইতিহাসে রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) আসনে আমরা কোনো যথাযোগ্য নেতাকে নির্বাচিত করতে পারি নাই। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই আসন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো জাতীয় নেতা বের হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমাদের এই আসনটি চির অবহেলিত একটি আসন। ফলে এই আসনের তিন উপজেলায় বড় ধরনের কোনো উন্নয়ন হয়নি। হয়নি এখানকার অধিবাসীদের জীবনমানের উন্নয়ন।
আমি বৃহত্তর পরিসরে এবং সরাসরি জনতার সঙ্গে কাজ করবার অভিপ্রায় থেকে রাজনীতিতে এসেছি। তবে পুরোনো দিনের রাজনীতিবিদদের মতো আমি আমার জনগোষ্ঠীকে কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবো না। জনগণ যদি পরিবর্তন চায়, রাষ্ট্রের সংস্কার চায়, সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব চায় তবে জনগণই আমাকে খুঁজে নেবে এই বিশ^াস আমার আছে। আমি বিশ^াস করি, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী এই বাংলাদেশে আরেকটি অভ্যুত্থান হবে। সেটা হলো ভোটের অভ্যুত্থান। এবার ছাত্র-জনতার ভোটের অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাবে আওয়ামী পরবর্তী জুলুমবাজের দল।
নিজের ভূমিকাকে কার্যকর করতে সাইয়েদ জামিল সবার দোয়া, পরামর্শ ও সমর্থনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার অধিবাসীরা আমার স্বজন। আমি আমার স্বজনদের বলবো, আমার উপর আস্থা রাখুন। আমি দায় ও দরদের রাজনীতি করি। শুধু নির্বাচন বা ভোটকেন্দ্রিক নয়, আপনাদের সঙ্গে যে রাজনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে তা আমি আমৃত্যু রক্ষা করবো। আমি আমার দেশের কাছে, দেশের মানুষের কাছে, আপনাদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আমার জন্য কোনো পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
উল্লেখ্য, সাইয়েদ জামিলের পৈত্রিক বাড়ী রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডে। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পেশাজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত হন। বর্তমানে ট্রাস্টি হিসেবে যুক্ত রয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে। তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। স্ত্রী বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল