॥ এ আর রাজু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় তীব্র শীতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এছাড়াও প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন শিশুসহ নানা বয়সী রোগী।৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সামিউল ইসলাম রনি জানান, আসলে শীতকালে স্পেশাল রোগী আসে শ্বাস কষ্টের এবং শিশুদের ডায়রিয়া জনিত রোগীগুলো বেশি আসে সাধারনত। এবার শীতের প্রকোপ বেশি আমাদের বহিঃবিভাগ এবং অন্তঃবিভাগের রোগীর সংখ্যাও বেশি হয়ে গেছে।
এদিকে, অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। গত দু’দিন ধরে শীত বাড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা কমতেই উল্লাপাড়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে উল্লাপাড়া সদরে ঘরে-ঘরে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। শহরের সরকারি বেসরকারী হাসপাতালে শিশু রোগীর চাপ বাড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, , হঠাৎ করে উল্লাপাড়া হাসপাতাল গুলোতে শিশু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে জলবসন্ত, ফুসকুড়ি, ডায়রিয়া, সর্দি জ্বর, টাইফয়েডের রোগী থাকলেও, অধিকাংশ শিশু নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উল্লাপাড়া ৩০ শয্যা সরকাররী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঠান্ডা জনিত রোগে নবজাতক থেকে শুরু করে ৩-৫ বছরের অনেক শিশু নতুন করে ভর্তি হয়েছেন। অনেক অভিভাবক হাসপাতালের আউটডোর কিংবা জরুরী বিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সন্তানকে নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। ভর্তি হওয়া এবং ফিরে যাওয়া শিশুদের বেশির ভাগই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
সিনিয়ার নার্স পলিয়া খাতুন জানান, আমাদের ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বর্তমান রোগীর সংখ্যা অনেক আছে। আমাদের বর্তমানে ইনডোরে প্রায় ২১ জন রোগী আছে। এবং তারপরেও ২৭/২৮ জন রোগী সবসময় উপস্থিত থাকে। এর মধ্যে হচ্ছে ডায়রিয়া রোগী বেশি আসে। এবং শীতকালীন সময় এজমা রোগীরাও বেশি আসে।
৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সামিউল ইসলাম রনি জানান, আসলে শীতকালে স্পেশাল রোগী আসে শ্বাস কষ্টের এবং শিশুদের ডায়রিয়া জনিত রোগীগুলো বেশি আসে সাধারনত। এবার শীতের প্রকোপ বেশি আমাদের বহিঃবিভাগ এবং অন্তঃবিভাগের রোগীর সংখ্যাও বেশি হয়ে গেছে।
স্পেশালী বৃদ্ধ এবং শিশুদের শ্বাস কষ্ট জনিত রোগের সংখ্যা অনেক বেশি। বহিঃবিভাগে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ১০০ জন এ রকম শ্বাসকষ্টজনিত রোগী এবং ডায়রিয়া জনিত শিশু ভর্তি হয়। আমাদের ইনডোরে ভর্তি আছে অনেক রোগী। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন রোগী বহির্বিভাগে আসে আর ভর্তি থাকে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী। এবং বেশির ভাগ ডায়রিয়া এবং স্বাসকষ্ট আর ঠান্ডাজনিত রোগী।