॥ সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ॥
নি রাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ নিরাপ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় জেলা পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।বক্তারা বলেন, খাদ্য শুধু পরিপূর্ণ পুষ্টির উৎস নয়, এটি হতে হবে নিরাপদও। এজন্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণনের প্রতিটি ধাপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।
এতে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্ম সচিব) আ.ন.ম. নাজিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ আব্দুস সালাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্যে কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক (উপসচিব) অমিতাভ মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, সাতক্ষীরা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা দীপংকর দত্ত, বাংলাশে জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবুল হাশেম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল, সাবেক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলার আহবায়ক আরাফাত হোসেন ও মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুম, শহর জামায়াতের নায়েবে আমির সাবেক কাউন্সিলর লাভলুসহ কর্মশালায় হোটেল-রেস্তোরা ব্যবসায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ, এনজিও কর্মী, সমাজকর্মী, শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সুধীসমাজ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
কর্মশালায় বক্তারা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সকলের অংশগ্রহণ এবং দায়িত্ববোধ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বলেন, খাদ্য শুধু পরিপূর্ণ পুষ্টির উৎস নয়, এটি হতে হবে নিরাপদও। এজন্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণনের প্রতিটি ধাপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। এছাড়া আলোচনায় উঠে আসে জেলাজুড়ে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান, সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা।
কর্মশালাটি অংশগ্রহণকারীরে মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি এবং স্থানীয় পর্যায়ে একটি সুশৃঙ্খল, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় সৃষ্টি করে। এসময় বক্তারা নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ নিরাপ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তত্ত¡াবধান ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবার সম্মিলিত অবদানে বাংলাদেশে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।