॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥
নো য়াখালীতে নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ মজিবুল হকের চেম্বারে হামলা,ভাঙচুর,লুট পাটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডাঃ মুজিবুল হক । বুধবার ( ৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ বাসভবন ও ব্যক্তিগত চেম্বারে তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোগীটি যখন ব্লিডিং হচ্ছে তখন আমার কাছে নিয়ে আসতো আমি মেশিনের সাহায্যে রক্ত বন্ধ করে দিতাম। কিন্তু তারা সেটা না করে রোগীকে মৃত অবস্থায় আমার চেম্বারে নিয়ে আসছে। তখন রোগীর শরির একবার ঠান্ডা হয়ে গেছে। সাধারনত রোগী মৃত্যুর ১থেকে দেড় ঘন্টা পর রোগীর শরির ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যায়।
তিনি তার বক্তব্যে জানান, মহিলার মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগত ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। কোন ডাক্তার রোগীকে মেরে ফেলতে পারে না। আমরা কোন রুগীকে জীবন দিতেও পারি না। জীবন দেয়ার মালিক আল্লাহ। আমরা চেষ্টা করতে পারি। গত ২৫ নভেম্বর রোগীটিকে গলার টনসিল অপারেশন করি। একই সাথে নাকের পলিপাস ছোট একটা অপারেশন করি। রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি যায় আমার সাথে যোগাযোগ হয়। রোগীর নাকে ব্যাথা আমি এন্টিবায়োটিক ও ব্যাথার ঔষধ খেতে পরামর্শ দিই। যেকোন অপারেশনে ব্লিডিং, ব্যথা হতে পারে এটা very common complication।
এটা সব অপারেশনে হতে পারে। টনসিল অপারেশনে রোগী আমার হাতে না কারো হাতেই মারা যায় না। তিনি বলেন এ রোগী কিভাবে মারা গেছে তা আমি নিশ্চিত না। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারন। গত ২৯ নভেম্বর রোগীটিকে একটি বেসরকারি হাসপাতাল প্রাইম-২ তে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। ওরা মৃত্যু নিশ্চিত দেখে রোগীকে আর ভর্তি করেননি। তারপর মৃত ঐ নারি রোগীকে সম্পুর্ন উদ্যেশ্য ভাবে আমার চেম্বারে নিয়ে আসছে।
এবং ফোন করে লোকজন এনে আমার এখানে হামলা ভাংচুর আমার স্টাফদের মারধর,ক্যাশ থেকে দুই লাখ টাকা লুট করে। পরে একজন এমবিবিএস ডাক্তার তাদের বুঝাতে গেলে তারা তাঁকেও বেধম মারধর করে। এটা কেনো হবে? আমি অপরাধ করলে আমার বিচার হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, সম্পদের অনিষ্ট কেনো করবে। আর স্টাফদের কি দোষ ওরা চাকুরী করে ওদের কেনো মারবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোগীটি যখন ব্লিডিং হচ্ছে তখন আমার কাছে নিয়ে আসতো আমি মেশিনের সাহায্যে রক্ত বন্ধ করে দিতাম। কিন্তু তারা সেটা না করে রোগীকে মৃত অবস্থায় আমার চেম্বারে নিয়ে আসছে। তখন রোগীর শরির একবার ঠান্ডা হয়ে গেছে। সাধারনত রোগী মৃত্যুর ১থেকে দেড় ঘন্টা পর রোগীর শরির ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যায়। তখন সেটা রিকভারি করা সম্ভব না। তিনি এ মৃত্যুর জন্য নিজেকে নির্দোষ জানিয়ে তার চেম্বারে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি তার ডাক্তার এসোসিয়েশন সহ রাজনৈতিক ও প্রশাসনের সকল দপ্তরে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ন্যায় বিচার দাবী করেন।
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল