॥ আরজু আক্তার, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ॥
নি ম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ সহ উপকূলীয় চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বেড়ীবাঁধ না থাকায় এতে করে নিঝুম দ্বীপের কিছু মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ও বিভিন্ন প্রজেক্ট এর মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন ফসলাদি।মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় প্রচন্ড জোয়ারের তোড়ে হাতিয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে । ফলে নদীর পাড়ের লোকজন তাদের দোকানপাট দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে। সুকচর ইউনিয়নের রামচরন বাজারের ইসমাইল হোসেন বলেন রামচরণের আশপাশে বেড়ির বাঁধ ভেঙ্গে অনেক জায়গায় জোয়ার পানিতে প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়ি সহ অনেক ফসলে জমি নষ্ট হয়েগেছে
একটানা বৃষ্টি, জোয়ার পানি ও ঝড়ো বাতাসে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে । তবে নিঝুমদ্বীপ বিদ্যানিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আশরাফ উদ্দিন জানান, নিম্নাঞ্চল সামান্য প্লাবিত হলে ও জোয়ারের পানি নেমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিকে দ্বিতীয় দিনের মত সারাদেশের সঙ্গে হাতিয়ার নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে আটকা পড়া লোকজন।
মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় প্রচন্ড জোয়ারের তোড়ে হাতিয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে । ফলে নদীর পাড়ের লোকজন তাদের দোকানপাট দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে। সুকচর ইউনিয়নের রামচরন বাজারের ইসমাইল হোসেন বলেন রামচরণের আশপাশে বেড়ির বাঁধ ভেঙ্গে অনেক জায়গায় জোয়ার পানিতে প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়ি সহ অনেক ফসলে জমি নষ্ট হয়েগেছে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলা উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৪৩ টি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র।
সিপিপির সহকারী পরিচালক মোঃ মাজহারুল হক জানান, নিঝুম দ্বীপ সহ বিভিন্ন চরাঞ্চল ও হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের সিপিপি কর্মীদের কে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার জানান, উপজেলার ২২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কে ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।