॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা, এর প্রভাবে মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় এলাকায় দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে, চলছে লাগাতার বৃষ্টি-বাড়ছে বাতাসরন তিব্রতাও। তাই এ ঘূর্ণঝড়ের হাত থেকে রক্ষা ও মানুষের জানমাল রক্ষায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
দুর্যোগ মোকাবেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা সহ মোংলা উপজেলায় ১০৩ টি সাইক্লোন শেল্টার, সকল পাকা স্কুল ভবন ও ধর্মীয় উপসানালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন প্রায় ৫৫/৬০ হাজার মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জরুরী সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী আফিয়া শারমিন। উপস্থিত ছিলো ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুটি (সিপিপি) মোংলা উপজেলা কর্মকর্তা মামুনার রশিদ সহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য, সকল ইউনিয়নেন ৬৬টি ইউনিটের ইউনিট টিম লিডার, স্বেচ্ছাসবক সহ এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগ মোকাবেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা সহ মোংলা উপজেলায় ১০৩ টি সাইক্লোন শেল্টার, সকল পাকা স্কুল ভবন ও ধর্মীয় উপসানালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন প্রায় ৫৫/৬০ হাজার মানুষ।
এছাড়া আশ্রয়কৃত মানুষের জন্য শুকনো খাবার, জরুরী ত্রান সহায়তার জন্য চাল ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সংকেত বারার সাথে সাথে মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগ চলাকালীন সময় মানুষদের উদ্ধার, আশ্রয় দেয়া ও প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ পরিচালনার জন্য সিপিপির ১ হাজার ৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকা সহ বিদ্যুৎ বিভাগ সড়ক বিভাগ ফায়ার সার্ভিসকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে নির্বাহী কর্মকর্তা।
এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সংরক্ষর সহ উপজেলায় মোট ২৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নদী সংলগ্ন এলাকার ঝুকিপুর্ন বেড়িবাঁধের দিকে নজর রাখার জন্য নির্তেশনা দিয়েছে তিনি।দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য শ্রমিক সহ জিও ব্যাগ প্রস্তুক রাখার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে মোংলা উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে, বর্তমানে মোংলা বন্দর চ্যানেলে পন্য খালাসের জন্য ৮টি বানিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। সে সকল জাহাজ নিরাপদে গিয়ে শক্ত অবস্থানে নঙ্গর করে থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। নিজেস্ব এলার্ট-১ সহ বন্যা দুর্গত মানুষের আশ্রয় ও উত্থারের জন্য সকল নৌযান প্রস্তুত রেখেছে বন্দর। দুর্যোগের বিপদকালীন সময় মানুষের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।