॥ আসাদুর রহমান হাবিব, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥
দে শের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর থেকে সোমবার ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৩য় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল এরই মধ্যে আজ সোমবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১ম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় ১ম ও ২য় ইউনিট ওভার হোলিং এ কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না যার কারনে ২য় ইউনিটটি ৬ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সব মিলে প্রায় ৪শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত আছেন যাদের কোটি কোটি টাকা বেতন ভাতা দিতে বিদ্যুৎ উন্নয়নবোর্ড হিমশিম খাচ্ছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়াই দেশের উত্তরাঞ্চলের ভারী ও মাঝারি শিল্প কলকারখানা ও বরোধান সেচ মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পার্শ্ববতী কয়লাখনি থেকে উৎপাদিত কয়লাদিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩টি ইউনিটে ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম থাকলেও ২নং ইউনিট প্রায় ৭ বছর ধরে অকেজ অবস্থায় পড়ে আছে ২নং ইউনিট থেকে এক সময় ১২৫ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও উৎপাদন হত মাত্র ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ সেই ইউনিটটিও দীর্ঘ সময় ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১নং ও ৩নং ইউনিটটি মেরামত করে জোড়াতালি দিয়ে চালু রাখলেও বছরে কয়েকবার নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হয়। প্রায় ৬ বছর আগে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩য় ইউনিটটি নির্মাণ করা হয় যার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ধারণ ক্ষমতা ছিল ২৭৫ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটটিতে উৎপাদনে যাওয়ার পরে এ পর্যন্ত কতবার যে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে পড়েছিল তাঁর কোন হিসাব নেই গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩য় ইউনিট ও ১ম ইউনিট বন্ধ হয়ে যায় এর পরে গত ২২শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং তারিখে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩য় ইউনিট ও ১ম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে চলছে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে ইউনিটটির বয়লার লিকেজ এর কারণে বন্ধ করে দিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় ১ম ও ২য় ইউনিট ওভার হোলিং এ কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না যার কারনে ২য় ইউনিটটি ৬ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সব মিলে প্রায় ৪শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত আছেন যাদের কোটি কোটি টাকা বেতন ভাতা দিতে বিদ্যুৎ উন্নয়নবোর্ড হিমশিম খাচ্ছে।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১ম ও ৩য় ইউনিট দুটি বন্ধ হয়েছে মেরামতের কার্যক্রম চলছে মেরামত না করা পর্যন্ত কোনভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে চালু করা সম্ভব নয়।