॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
মোং লা বন্দর সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল মোংলা বন্দরের সাথে সারা দেশে রেল যোগাযোগ চালু করা। তাই বন্দর সৃষ্টির ৭৩ বছর পর মোংলা-খুলনা রেল যোগাযোগ শুরু হয়। কিন্ত সরকারের গ্রহন করা রেল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না মোংলা বন্দর সহ এসকল অঞ্চলের জনসাধারনের।গত ২০২৪ সালের ১ জুন মোংলা-খুলনা রেল লাইন চালু হলেও এতে সুফল পাচ্ছেনা মোংলা বন্দর সহ এ অঞ্চলের জনগণ। চলছে মাত্র যাত্রীবাহী একটি ট্রেন। বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন হচ্ছে না। রেল চালুর প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হলেও মাত্র দুইটি জাহাজের আমদানীকৃত কিছু পন্য পরিবহন করা হয়েছে এ রেল পথে।
তৎকালীন সরকারের মুল উদ্দোশ্য ছিল, দক্ষিনাঞ্চলের সাথে রেল যোগাযোগ চালু হলে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি মোংলা বন্দরে আমদানী-রফতানিকৃত পন্যও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন করা হবে। এতে পন্য পরিবহনে নিরাপত্তা, সময় ও অর্থ তিন দিকেই সাশ্রয় হবে ব্যবসায়ীদের। ফলে ব্যাবসায়ীরা যেমন লাভবান হবে, বন্দরেরও বাড়বে রাজস্ব। সে জন্য চার হাজার ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় খুলনা-মোংলা রেল লাইন।
গত ২০২৪ সালের ১ জুন মোংলা-খুলনা রেল লাইন চালু হলেও এতে সুফল পাচ্ছেনা মোংলা বন্দর সহ এ অঞ্চলের জনগণ। চলছে মাত্র যাত্রীবাহী একটি ট্রেন। বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন হচ্ছে না। রেল চালুর প্রায় দেড় বছর অতিবাহিত হলেও মাত্র দুইটি জাহাজের আমদানীকৃত কিছু পন্য পরিবহন করা হয়েছে এ রেল পথে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক ( বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, মোংলা বন্দর এখন সম্পুর্ন সচল। পন্য পরিবহনে নৌ-পথ ও সড়ক পথ চালু রয়েছে। এখন রেল পথ দিয়ে পুরোপুরি পন্য পরিবহনের জন্য ব্যাবসায়ীদের নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।