॥ মাসুদ রানা,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
সু ন্দরবনের করমজল খাল থেকে কুমিরে নেয়া জেলেকে ৭ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে বনবিভাগ ও গ্রামবাসী। মঙ্গলবার সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গেলে কুমিরের আক্রমণের শিকার হয় জেলে সুব্রত। বুধবার দুপুরে ঢাংমারীতে সুব্রতর সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।যেহেতু সুব্রত পাস নিয়ে বনে গিয়েছিল। তাই কুমিরের আক্রমণে নিহত সুব্রতর পরিবারকে সরকারী ভাবে ৩লাখ টাকা অনুদান প্রদাণের কার্যক্রম বনবিভাগে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর একই করমজল খালে কুমিরের আক্রমণে প্রাণ হারান ঢাংমারীর ভোজনখালীর জেলে মোশারেফ।
বন কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির ও ঢাংমারী গ্রামের বাসিন্দা ইস্রাফিল বয়াতি জানান, বনবিভাগের কাছ থেকে কাঁকড়া ধরার পাস নিয়ে মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবনে যায় সুব্রত মন্ডল (৩২) ও তার সহযাত্রীরা। কাঁকড়া ধরে ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে করমজল খাল পাড়ি দিতে গেলে কুমিরে ধরে নিয়ে যায় তাকে। এরপর ৭ ঘন্টা পর ঘটনাস্থল থেকে ৫শ মিটার দূরে ডুবন্ত মরদেহ উদ্ধার করাহয়। এর আগে কুমির মুখ থেকে লাশ ফেলে দূরে সরে যায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডুবিয়ে লাশ উদ্ধার করার পর তার বাড়ীতে নেয়া হয়। এরপর বুধবার দুপুরে ঢাংমারী গ্রামের শশ্মানে সুব্রতর লাশের সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।
বন কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, যেহেতু সুব্রত পাস নিয়ে বনে গিয়েছিল। তাই কুমিরের আক্রমণে নিহত সুব্রতর পরিবারকে সরকারী ভাবে ৩লাখ টাকা অনুদান প্রদাণের কার্যক্রম বনবিভাগে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর একই করমজল খালে কুমিরের আক্রমণে প্রাণ হারান ঢাংমারীর ভোজনখালীর জেলে মোশারেফ। তবে তখন নিষিদ্ধ সময় থাকায় ও তার পাস না থাকায় তার পরিবার কোন সরকারি অনুদান পাননি।