॥ আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী ভয়ঙ্কর ভাবে ছেয়ে গেছে। পদ্মা নদী ও নদীর শাখা খাল বিল ও জলাশয় মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ শিকারের প্রতিযোগিতা ফলে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী।পদ্মা নদী সহ খাল বিলে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে, জাটকা ইলিশ, পোনা মাছ ও ডিম ওয়ালা মা মাছ , চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল এর কারণে সকল প্রকার মাছ,পোকামাকড়, ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া, মারা পড়ছে এই সব মরণ ফাদে। সেই সাথে এ সব জালে শিকার হচ্ছে বিপন্ন জলজ প্রাণী শুশুক।
ুপদ্মা নদীতে জাটকা ইলিশ, মিঠা পানির বিপন্ন প্রজাতির বাঘাআইড়, রিঠা মাছ সহ দেশীয় প্রজাতির নানা প্রকার পোনা মাছ সহ অন্যান্য মাছ এই জালের ফাঁদে আটকা পড়ে।
এসব অবৈধ জালের ফাদে বিপন্ন জলজ প্রানী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন, এসব অবৈধ মাছ শিকার করার মরণ ফাদ গুলো অতি দ্রুত নদীতে ও হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা প্রয়োজন।
অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী ব্যবহারের কারনে নদীতে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জালের ফাঁদে পড়ে বিলুপ্তর পথে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী। পদ্মা অবাধে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি দিয়ে মাছ শিকার করা বন্ধ না করলে নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও দেশি মাছ গুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।
পদ্মা নদীতে মাছ শিকার করা পেশাদার জেলেরা বলেন, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ক্ষেতাঝুড়ি জাল, বেড় জাল, চায়না দুয়ারি দিয়ে জাটকা ইলিশ, ডিম ওয়ালা মা মাছ শিকার করার কারনে নদীতে মা মাছ ডিম ফুটাতে পাড়ছে না। এ সব জালে মাছের ডিম সহ ধ্বংস হচ্ছে। মা মাছ গুলো ডিম ফুটাতে না পারলে কিভাবে মাছ বৃদ্ধি পাবে। ইলিশ সহ দেশি প্রজাতির মাছ আর দেশে দেখতে পাবো না।
এসব অবৈধ জালের ফাদে বিপন্ন জলজ প্রানী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন, এসব অবৈধ মাছ শিকার করার মরণ ফাদ গুলো অতি দ্রুত নদীতে ও হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা প্রয়োজন।
মাছ বিক্রেতার হাসান মোল্লা বলেন, কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি দিয়ে ছোট মাছ মারার কারণে আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতি হচ্ছে। ছোট মাছ গুলো ধরা বন্ধ হলে দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতো।
জেএম সিরাজুল কবির, ওসি, নৌ পুলিশ ফাঁড়ি দৌলতদিয়া ঘাট বলেন, কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি মাছ নিধনে দেশের বড় শত্রু। অসাধু মাছ শিকারিরা অবৈধ ভাবে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি দিয়ে বারো মাস পদ্মা নদী থেকে মাছ শিকার করার চেষ্টা করে। আমরা প্রায় সময় নদীতে অভিযান পরিচালনা করে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি আটক করে আগুনে পুড়িয়ে ধবংস করি। আমাদের অব্যাহত আছে।
মোস্তফা আল রাজীব, গোয়ালন্দ উপজেলা অতিরিক্ত দাযিত্ব মৎস্য কর্মকর্তা।বলেন, চায়না দুয়ারি এখন সারা দেশে আলোচিত বিষয়। নিত্য নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প পরিশ্রমে বেশি মাছ অপহরনের চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকার গেজেট প্রকাশ করেছে, চায়না দুয়ারি ব্যবহার কারি, বিক্রয় কারি তাদের জন্য শাস্তি কারাদ-, নগদ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে। আমরা মোবাইল কোর্ট করে অভিযান পরিচালনা করছি। কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি ব্যবহার যাতে না করে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।