॥ আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥
রা জবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরাল পাগলের দরবার শরীফে হামলার সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও পু্লিশের ওপর হামলার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলাটি করেন।উল্লেখ্যঃ আশির দশকে নুরাল পাগল নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন দরবার শরীফ। তিনি নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এঘটনায় ৫ জন আসামী কে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। রবিবার এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি, মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম এবং নুরাল পাগলের ভক্ত নিহত রাসেল মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন মামলা করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি, মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মো. লাল মিয়া মৃধার ছেলে মো. হিরু মৃধা (৪০), পৌর শহরের দেওয়ানপাড়ার আবজাল সরদারের ছেলে শাফিন সরদার (১৯), জহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক জনি (৩২), কাজীপাড়ার আরিফ কাজীর ছেলে অপু কাজী (২৫) এবং উজানচর দিরাজতুল্লা মৃধাপাড়ার মৃত আক্কাছ মৃধার ছেলে মাসুদ মৃধা (২৯)।
আজও নুরাল পাগলের বাড়ীর সামনে পুলিশ মোতায়েন আছে। এদিকে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও মরদেহ উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার পর বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দরবারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি, মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত আমরা ৫ জন কে গ্রেফতার করতে পেরেছি। এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের কে আমরা গ্রেফতার করেছি। আরো ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত আছে তাদেরকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে এবং গ্রেফতার অভিযান চলবে। এবং নুরাল পাগলের বাড়ীতে যারা হামলা চালিয়েছে ওখানে যারা হত্যার সাথে জড়িত আছেন তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এবং ইনশাআল্লাহ তাদের কে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
উল্লেখ্যঃ আশির দশকে নুরাল পাগল নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন দরবার শরীফ। তিনি নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।