॥ এ আর রাজু, উল্লাপাড়া (সিরাজঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে মো: আব্দুল মালেক নামের এক সহকারি শিক্ষককে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। গত বুধবার (৩০ আগষ্ট) জেলা শিক্ষা প্রাথমিক কর্মকর্তা এস এম আবদুল রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্তকৃত মো: আব্দুল মালেক উপজেলার চরভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও একই গ্রামের মাওলানা আলাউদ্দিন আলীর ছেলে।
গত ২৩ আগষ্ট ক্লাস চলাকালে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন শিক্ষক আব্দুল মালেক। পরে ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবকের নিকট বিষয়টি খুলে বলে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চরভাটবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে গত ২৩ আগষ্ট একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলে অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পরে বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছানোয়ার হোসেন ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার্থে ওই শিক্ষককে ঘটনার দিন ২৩ আগষ্ট থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
গত ২৩ আগষ্ট ক্লাস চলাকালে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন শিক্ষক আব্দুল মালেক। পরে ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবকের নিকট বিষয়টি খুলে বলে। ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক প্রথমে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও সহকারি শিক্ষকদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।
পরে বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে গণমাধ্যম কর্মীরা এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নজরে এলে ঘটনাটি তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো: আব্দুল মালেকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ছানোয়ার হোসেন জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাটি ৩ সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত করেন।
পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ও স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার্থে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আবদুল রহমান বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার পর আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলি। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দেওয়া প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।