॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচী (ক্রিয়া) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মোংলার সুন্দরবন ও মিঠাখালী ইউনিয়নে গ্লোবাল ডে অফ ক্লাইমেট অ্যাকশন মানববন্ধন দিবস পালন করা হয়েছে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ও জীবাশ্ম জ্বালানী বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে কৃষি, মৎস্য, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নদীভাঙ্গন, জীবাশ্ম জ্বালানী বৃদ্ধি ও দুর্যোগ এর মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে
(২১ই সেপ্টেম্বর) শনিবার মোংলা উপজেলার কাইনমারীতে সকাল ১০ ঘটিকায় গ্লোবাল ডে অফ ক্লাইমেট অ্যাকশন (মানববন্ধন) দিবস পালন করা হয়েছে। যার আর্থিক সহায়তায় সুইডেন অফ এ্যাম্বাসি, কারিগরী সহযোগিতায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং বাস্তবায়নে বাদাবন সংঘ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
মানববন্ধনে জনপ্রতিনিধি (হেলেনা) বলেন-জীবাশ্ম জ্বালানী দিবস ব্যবহারের ফলে আমাদের দেশের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে যার ফলে দুর্যোগ, আইলা, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার মতো বড় বড় বিপর্যয় এর ফলে আমরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এই ক্ষতির জন্য ধনী দেশ দায়ী এবং এই ক্ষতির সম্মুখীন থেকে কাটিয়ে উঠার জন্য ধনী দেশ গুলোর ক্ষতিপূরণসহ জীবাশ্ম জ্বালানী বন্ধ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রকল্প সমন্বয়কারী বলেন, জলবায়ু দিবস পালন (মানববন্ধন) এর মাধ্যমে আমরা ধনী দেশ গুলোকে জানিয়ে দিতে চাই যে, ধনী দেশগুলোর কারণে আমাদের দেশে দুর্যোগ, মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে যার ফলে কৃষি, মৎস্য ও কাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধা কমে যাচ্ছে।
তাই এই জীবাশ্ম জ্বালানী কমিয়ে আনার জন্য মানববন্ধন এর মাধ্যমে আমরা আমাদের নায্য দাবি জানাচ্ছি। জীবাশ্মন জ্বালানী না কমানো হলে দিন দিন তীব্র তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে যার ফলে অস্বাভাবিক বন্যা, খরা, উপকূলীয় এলাকার লোকজনের যানমাল ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এর জন্য আমরা এলাকার সকল শ্রেণীর পেশার লোকজন মানববন্ধনের মাধ্যমে কেমন করে জীবাশ্ম জ্বালানী কমানো যার তার জন্য বিশ্ব নেতাদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন সারা বিশ্বের মত আমাদের দেশেও এই গ্লোবাল ডে অফ ক্লাইমেট অ্যাকশন মানববন্ধন পালিত হচ্ছে। এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “জীবাশ্ম জ্বালানী মুক্ত ভবিষ্যতের জন্য লড়াই”।
১৯৯২ সালে ধরিত্রী সম্মেলনের পর থেকে ২৭টি বৈশ্বিক সম্মেলন হয়েছে যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশেগুলো দায়ী এবং ধনী দেশ গুলো তাদের দায় স্বীকার করেছে গ্রীন হাউস গ্যাস হ্রাস করা, বিপদাপন্ন দেশগুলোকে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু আজই ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি থেকে ক্রমান্বয়ে দূরে সরে যাচ্ছে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ও জীবাশ্ম জ্বালানী বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে কৃষি, মৎস্য, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নদীভাঙ্গন, জীবাশ্ম জ্বালানী বৃদ্ধি ও দুর্যোগ এর মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে যার ফলে আমাদের দেশে কৃষি, মৎস্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমাদের দেশে অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ক্ষতি না করে নবায়নযোগ্য জ্বালানী গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী নীতিতে নারীদের অবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাদাবন সংঘের এই ক্রিয়া প্রকল্পটি মানববন্ধনের মাধ্যমে জলবায়ু পীড়িত উপকুল মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের সাথে পিছিয়ে পড়া নারীদের ক্ষমতায়নের পথ সুগম করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির সহনশীলতা বৃদ্ধি ও নারীদের নেতৃত্বের সক্ষমতা তৈরী করবে এবং মানববন্ধনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানীর যুগ শেষ করতে হবে এখনই সময় সকলে মিলে জীবাশ্ম জ্বালানী বন্ধে সকলে মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করে।
এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নারী, পুরুষ, কিশোর, কিশোরী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি, সুশীল সমাজ ও ক্রিয়া প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ ও প্রমুখ।