॥ আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥
নানা অভিযোগ নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিতে রোববার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রয়োজনীয় তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে তিনি অভিযোগের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তিনি প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা, ভিত্তিহীন বলে দাবী করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান।
চার পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. শহিদ শেখ সম্প্রতি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকসহ দুদুক কার্যালয়ে গোয়ালন্দ বাজার প্রধান সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ না করেই বিল উত্তোলন, কাঁচা বাজারের ১০ লাখ টাকার দরপত্র ওঠলেও ৩লাখ টাকায় কমানো, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোলারষ্টীক লাইট স্থাপন করে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মাত্র ৫ কেজি জিলাপি দিয়ে ৬৫ হাজার টাকা বিল উত্তোলনের অভিযোগ করেন।
রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় গোয়ালন্দ পৌরসভা মিলনায়তনে পৌরসভার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) মো. রুহুল আমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম খান, প্যানেল মেয়র নাসির উদ্দিন রনি, দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামসহ পৌর পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
চার পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. শহিদ শেখ সম্প্রতি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকসহ দুদুক কার্যালয়ে গোয়ালন্দ বাজার প্রধান সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ না করেই বিল উত্তোলন, কাঁচা বাজারের ১০ লাখ টাকার দরপত্র ওঠলেও ৩লাখ টাকায় কমানো, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোলারষ্টীক লাইট স্থাপন করে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মাত্র ৫ কেজি জিলাপি দিয়ে ৬৫ হাজার টাকা বিল উত্তোলনের অভিযোগ করেন।
পৌর জামতলায় দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামের সাড়ে ৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে শহিদ শেখ ঘর তুলেন। হাফিজুল ইসলাম পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ করলে পৌরবিধি অনুযায়ী নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। নোটিশ অমান্য করে কাজ করায় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ আ.লীগ নেতৃবৃন্দকে সাথে করে কাজ বন্ধ করেন। এরপর থেকে সে আমার বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ হয়ে একের পর এক অভিযোগ করতে থাকেন।
মেয়র বলেন, গোয়ালন্দ বাজার প্রধান সড়কের কার্পেটিং কাজ শেষ হলেও অর্থ সঙ্কটে ঠিকাদারকে একটি টাকাও দেওয়া হয়নি। তাহলে টাকা তুলে আত্মসাৎ করলাম কিভাবে? কাঁচা বাজারের টেন্ডার ১০ লাখ টাকা উঠলে ওই ব্যক্তিই হাটটি পান। ৭ লাখ টাকায় পছন্দের লোককে দেয়ার অভিযোগ সত্য নয়। কবরস্থান ও শশ্মানে প্রকল্পের নিয়োজিত লোকজনের তদারকিতে সোলার লাইট স্থাপন করে তারাই বিল প্রদান করেছেন।
দীর্ঘদিনের জড়াজীর্ণ পৌরসভার মেয়রের কক্ষ, অন্যান্য কর্মকর্তাদের কক্ষ, সভাকক্ষসহ মিলনায়তন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আধুনিক ডেকোরেশনের কাজ করা হয়েছে। এখানে যে টাকা খরচ হয়েছে তার থেকে আরো কম টাকা উত্তোলন হয়েছে। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকীতে কুরআনখানি, দোয়া মাহফিল শেষে সকলের মাঝে খিচুরি বিরতন করা হয়। ২৬ হাজার টাকা ব্যায় হলেও মাত্র ৫ কেজি জিলাপি দিয়ে ৬৫ হাজার টাকা উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। অথচ জিলাপি দিয়ে এ পর্যন্ত কোন অনুষ্ঠান হয়নি।
থ্রিষ্টার প্রতিবন্ধী সংস্থার সদস্যদের সাড়ে ৪লাখ টাকা আত্মসাৎ, যৌন হয়রানির অভিযোগে গত বছর শহিদের বিচারের দাবীতে ক্ষুদ্ধ সদস্যরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। উপজেলা প্রশাসন, গোয়ালন্দঘাট থানা এবং পৌরসভায় অভিযোগ করে। এরপর থেকে একটি মহলের সহযোগিতায় শহিদ শেখ দুদকসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মেয়র জানান।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে মো. শহিদ শেখ দাবী করেন, প্রতিটি অভিযোগের প্রমানাদি তার কাছে আছে। তবে তিনি দেখাতে পারেননি। প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাৎ প্রসঙ্গে আদালত থেকে তার পক্ষে রায় দিয়েছে বলেও দাবী করেন।