॥ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥
র ইচপুরবাসীর রসনা বিলাসের জন্য এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো। রবিবার (০৫ অক্টোবর) বিকালে রইচপুর উত্তরপাড়া ব্রীজের উপরে শুভ উদ্বোধন করা হলো নতুন দোকান ‘আল্লাহর দান হাউজ’। উন্নত মান ও সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাদ্যপণ্য নিয়ে এই নতুন প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হলো।তিনি খাবারের গুণগত মান এবং পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে কোনো আপস করবেন না। বাজারের সেরা উপাদান ব্যবহার করে প্রতিটি পদ তৈরি করা হবে, যাতে ক্রেতারা তৃপ্তি সহকারে খাবার গ্রহণ করতে পারেন। তিনি আশা করেন, রইচপুর এবং এর আশেপাশের এলাকার মানুষ ‘আল্লাহর দান হাউজ’-কে তাদের পছন্দের একটি স্থান হিসেবে গ্রহণ করবেন।
দোকানের স্বত্বাধিকারী বা প্রোপাইটার নূর আসমাতুল্লাহ সাদ্দাম হোসেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের জন্য মানসম্মত খাবার পরিবেশনের ইচ্ছা পোষণ করে আসছিলেন। অবশেষে তার সেই স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়িত হওয়ায় রইচপুর এলাকায় এক আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং উন্নত মানের খাবারের জন্য সাদ্দাম হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির শুভ সূচনা করা হয়। রইচপুর উত্তরপাড়া মসজিদের সম্মানিত ইমাম আব্দুর রহিম দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আল্লাহর দান হাউজ’-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। মোনাজাতে প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং এলাকার মানুষের জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সমাজসেবক ও এলাকার উৎসাহী জনতা উপস্থিত ছিলেন।
‘আল্লাহর দান হাউজ’-এ ক্রেতারা পাবেন এক ঝাঁক উন্নত মানের সুস্বাদু খাবার। এই দোকানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে উন্নত মানের চটপটি, সুস্বাদু ফুচকা, চুই ঝালের ঝালমুড়ি, পাশাপাশি থাকছে আলু চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি চপ এবং মাংসের চপ।
স্বত্বাধিকারী নূর আসমাতুল্লাহ সাদ্দাম হোসেন জানান, তিনি খাবারের গুণগত মান এবং পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে কোনো আপস করবেন না। বাজারের সেরা উপাদান ব্যবহার করে প্রতিটি পদ তৈরি করা হবে, যাতে ক্রেতারা তৃপ্তি সহকারে খাবার গ্রহণ করতে পারেন। তিনি আশা করেন, রইচপুর এবং এর আশেপাশের এলাকার মানুষ ‘আল্লাহর দান হাউজ’-কে তাদের পছন্দের একটি স্থান হিসেবে গ্রহণ করবেন।
দোকানটির অবস্থান রইচপুর উত্তরপাড়া ব্রীজের উপরে, যা স্থানীয়দের জন্য একটি সুবিধাজনক স্থান। এর ফলে বিকাল ও সন্ধ্যা বা রাতে হালকা নাস্তার জন্য এই দোকানটি সকলের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় একজন বাসিন্দা মন্তব্য করেন, “অনেক দিন ধরে এই এলাকায় এমন ভালো খাবারের দোকানের অভাব ছিল। সাদ্দাম ভাইয়ের এই উদ্যোগ আমাদের সেই চাহিদা পূরণ করবেন।”