বৃহস্পতিবার , ২৫ জুলাই ২০২৪

ভেষজ তথা ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সরাসরি মানব কল্যানের সাথে জড়িত

চি
কিৎসা বিজ্ঞানের সম্পর্ক সরাসরি মানব কল্যানের সাথে জড়িত  চিকিৎসা বিজ্ঞান ভেষজ তথা ইউনানি ও

আয়ুর্বেদিক জ্ঞানের সাথে সম্পর্ক যুক্ত একটি পরিপূর্ণ বিজ্ঞান। এটি এমন একটি বিজ্ঞান যা রোগ ব্যাধির প্রতিরোধ-প্রতিকার,স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়ম,মানব দেহের যাবতীয় রোগ ব্যাধির কারন নির্নয় ও নিরাময়ের উপায় বাতলে দেয়।

এই ভেষজ বিজ্ঞান মানব দেহেকে কষ্ট ও ব্যাধি হতে মুক্তি দান করে। মানব জীবনের সহিত ভেষজ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস সুপ্রাচীন। মানব জীবনের নিত্য পরিবর্তনশীল জীবন যাত্রার উপর ভেষজ চিকিৎসা বিজ্ঞান সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সু স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা মহান আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত নেয়ামত গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় নেয়ামত। অসুস্থ্য থাকলে বুঝা যায় এই নেয়ামত কত মুল্যবান। মহান আল্লাহ প্রকৃতিতেই রেখেছেন রোগ-ব্যাধি নিরাময়ের উপকরণ।
মানব সেবা মহান পেশা। বিশেষ করে চিকিৎসা পেশা যেটি সরাসরি মানব কল্যানের সাথে জড়িত এবং মহান আল্লাহকে রাজি-খুশি করার একটি সর্বোত্তম মাধ্যম। একজন ভেষজ চিকিৎসক জাতি-ধর্ম-বর্ন-গোত্র-লিঙ্গ, স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে সকলের প্রতি সমান গুরুত্ব ও মমত্ব প্রদর্শন করে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার নিয়তে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। যারা চিকিৎসাকে পেশা হিসাবে অবলম্বন করেন তাদের পবিত্র কর্তব্য হলো ব্যক্তি স্বার্থকে উপেক্ষা করে সহোযোগিতার মনোভাব নিয়ে রোগীর রোগ-ব্যাধি,কষ্ট-যন্ত্রণা লাঘব করা।
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শাস্ত্রের রুপ রেখা ও কারিগরি পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। যার আলোকে একজন চিকিৎসককে ভেষজ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর প্রতিনিয়ত ব্যপক গবেষণা ও জ্ঞান অর্জন করতে হবে। বহু শতাব্দী থেকে চলে আসা এই ভেষজ তথা ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পেশার বিধি বিধান ও নীতিমালা আজও ঠিক সেইরূপ রয়েছে। চিকিৎসা শাস্ত্র বিষয়ক নীতি সমুহের মধ্যে হাকীম বোখরাত( হিপোক্রেটস) এর প্রনীত নীতিমালাই সর্বাধিক প্রাচীন,গুরুত্বপূর্ণ ও বিখ্যাত।
যদিও সকল জ্ঞানের লক্ষ্য ও উদ্দশ্য মানুষের মঙ্গল, তবুও চিকিৎসা জ্ঞান মানুষের স্বাস্থ্য সুখের সাথে সম্পর্কিত। একজন চিকিৎসকের জন্য চিকিৎসা বিদ্যায় পারদর্শী হওয়া যেমন জরুরী, তেমনি প্রয়োজন উন্নত নৈতিকতার উন্নয়ন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ছাড়াও চিকিৎসকের ব্যক্তিত্ব , চারিত্রিক মহৎ গুনাবলী ও মনস্তাত্বিক ব্যবহার ও গুরুত্বরপূর্ন।
রোগীর মন থেকে রোগভীতি দুর করাই বড় চিকিৎসা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রোগীরা চিকিৎসক কে দেখলে ভয় পায়, কারন চিকিৎসক নৈতিকতা বিবর্জিত কাজের সাথে জড়িত। অর্থ উপার্জনই হচ্ছে যেন চিকিৎসকের আসল কাজ। সামাজিক, বৈজ্ঞানিক এবং স্বাংষ্কৃতিক বিবর্তন মানুষের নৈতিকতার শক্তি কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে চিকিৎসকের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যও প্রভাবিত করছে।
বিবেকের শক্তি দিয়ে মানুষ কে স্বাধীন ভাবে চিন্তা করার জন্য আল্লাহ বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন। মানুষ কে বৈধ অবৈধ পার্থক্য করার যোগ্যতা দিয়েছেন। চিকিৎসক হবেন দুরদর্শী, জ্ঞানী, নির্লোভী, সহানুভুতিশীল, উদর, ধর্ম, বর্ন, ভাষা, দেশ এবং মানবিক দুর্বলতার উর্ধ্বে। পেশা নয়, চিকিৎসক মানব সেবা হিসেবেই গ্রহন করবেন চিকিৎসাকে, এই হোক আমাদের ব্রত।

কবিরাজ মীর মিজানুর রহমান
বি এ এম এস ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় )
মেডিকেল অফিসার
হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ ( ওয়াকফ) বাংলাদেশ

About iqbalrez

Check Also

গোয়ালন্দে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত।

॥  আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥ পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া খানকা শরীফ …