॥ আরিফুল ইসলাম, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় আজ সকাল দশটায় উপজেলা কনফারেন্স রুমে জার্মান ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “আগোপীর বাংলাদেশ”-এর উদ্যোগে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ও সুদি মহলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
“আগাপি বাংলাদেশ শুধুমাত্র পানির সমস্যা দূরীকরণেই কাজ করছে না, পাশাপাশি চরাঞ্চলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ভীত রচনায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েও কাজ করছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আগাপি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালে মোহাম্মাদ হাসনাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন আগামী জার্মান চেয়ারম্যান ড. মার্টিন মায়ার।
সভায় ড. মার্টিন মায়ার তার উদ্ভাবিত আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টারের কার্যকারিতা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, গত ১২ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় বিশেষ করে পটুয়াখালী, হবিগঞ্জ ও সিলেটের হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির সমস্যা দূরীকরণে কাজ করছেন। তার উদ্ভাবিত ফিল্টার ব্যবহারের মাধ্যমে সুপেয় পানির সংকট অনেকাংশে লাঘব হচ্ছে।
আগাপি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সাংবাদিক হাফিজুর রহমান বাবলু বলেন, “আগাপি বাংলাদেশ শুধুমাত্র পানির সমস্যা দূরীকরণেই কাজ করছে না, পাশাপাশি চরাঞ্চলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ভীত রচনায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েও কাজ করছে।”
সভায় আগাপি বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার রকিবুল হাসান ড. মার্টিনের উদ্ভাবিত বিভিন্ন পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টার উপস্থাপন করেন এবং এর কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, আগামি বাংলাদেশ বিনামূল্যে এই ফিল্টার হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করে থাকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালে মোহাম্মাদ হাসনাত গ্লোবাল সংবাদ কে বলেন, “আগাপি বাংলাদেশের এই কার্যক্রম নিঃসন্দেহে দেশের হতদরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যদি সবাই একযোগে কাজ করে, তাহলে একদিন সমাজের প্রতিটি অসহায় মানুষ নিরাপদ পানি, শিক্ষা এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।”
সভা শেষে আগাপি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত সকলে আগাপি বাংলাদেশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত কর্মসূচির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।