॥ আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥
দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর আলোচিত বাড়িয়ালী ও যৌনকর্মীদের নেত্রী ঝুমুর বেগম (৪২) ও তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ফকিরকে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
তার দাপটে ঝুমুর যৌনপল্লীতে ব্যাপক আধিপত্য সৃষ্টি করে একচ্ছত্রভাবে মাদকদ্রব্য ও নারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে তারা অঢেল অর্থ-বিত্তের মালিক হন।
গত ৫ আগষ্টের পর হতে তারা দুজনেই আত্মগোপনে ছিলেন। রবিবার বেলা সারে ১১ টার দিকে দৌলতদিয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন তাদের মালিকানাধীন নিরালা বোডিং হতে ঝুমুর বেগমকে আটক করে থানা পুলিশ। এ সময় তার কক্ষ থেকে দুই বোতল বিয়ার এবং এক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার দিনগত রবিবার রাত পৌনে দুইটার দিকে ওই একই বোডিং হতে জলিল ফকিরকে আটক করে থানা পুলিশ। জলিল ফকির দৌলতদিয়া সোরাপ মন্ডল পাড়ার মৃত সৈজদ্দিন ফকিরের ছেলে। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং ওই ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলেন।
ঝুমুর বেগম যৌনকর্মীদের সংগঠন অসহায় নারী ঐক্য সংস্থার সভানেত্রী এবং উত্তরন ফাউন্ডেশনের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। উত্তরন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি হাবিবুর রহমান। তার দাপটে ঝুমুর যৌনপল্লীতে ব্যাপক আধিপত্য সৃষ্টি করে একচ্ছত্রভাবে মাদকদ্রব্য ও নারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে তারা অঢেল অর্থ-বিত্তের মালিক হন। ঢাকা সাভারে গড়ে তোলেন বহুতল আলিশান বাড়ি। এলাকাতেও রয়েছে অনেক স্হাবর -অস্হাবর সম্পদ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, ঝুমুর বেগমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আদালতে বিচারাধীন একটি মানবপাচার মামলা রয়েছে।
এছাড়া জলিল ফকিরকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় গত ১০ ডিসেম্বর দায়ের হওয়া ছাত্র-জনতার উপর হামলা মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দু’জনকেই রোববার দুপুরে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।