॥ এস কে কামরুল হাসান সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥
সা তক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ওয়ারেশ কাম সার্টিফিকেট দিয়ে মিউটেশন তৈরি করে অন্যের জমি দখলের পাঁয়তারা করছে ওই এলাকার একটি ভূমিদস্যচক্র।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় একটি কুচক্রী মহল কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও ইউপি সদস্য নুর হকের বিরুদ্ধে জমি দখল, উচ্ছেদ ও নামজারি অপচেষ্টার মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রকৃত ওয়ারেশদের জমি দখল ব্যর্থ চেষ্টায় মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। ভুমি দস্যু দালাল সিন্ডিকেটের মূল হোতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজানুর রহমান।
ঘটনাটি ঘটেছে কালিগঞ্জ উপজেলায় কালিগঞ্জ কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে। তথ্যসূত্রে যানা যায়, কৃষ্ণনগর গ্রামের বিমল চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সূত্রে জমির মালিকানা লাভ করে তার স্ত্রী সীতা রাণী ঘোষ ও তাঁর দুই পুত্র সন্তান। কৃষ্ণনগর মৌজার জে,এল নং২৩৩ হাল দাগ নাম্বার ২৩৪ ও আর এস ২০৭৯ দাগের ১ একর ১৭ শতকের জমির মালিক বিমল চন্দ্র ঘোষ। মৃত বিমল চন্দ্র ঘোষ ১ একর ১৭ শতকের জমির মালিকানা থাকলেও প্লটে জমি আছে ১ একর ৪ শতক। কম আছে ১৩ শতক জমি। স্বামীর মৃত্যুর পর সীতা রাণী ঘোষ ওয়ারেশ সূত্রে ৩৯ শতক জমির মালিকানা লাভ করে ৩৯ শতক জমির মধ্যে থেকে ২১ শতক জমি বিক্রয় করে কৃষ্ণনগর গ্রামের মরহুম কে,এম মোশাররফ হোসেনের কন্যা মোছাঃ সাফিয়া পারভীনের কাছে, বর্তমান কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একই গ্রামের মরহুম সামাদ সরদারের পুত্র মোঃ নুর হক সরদারের কাছে । নুর হক কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, বিমল চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সূত্রে প্রকৃত জমির মালিক তার স্ত্রী সীতা রাণী ঘোষ। একটি দালাল বাহিনী অসৎ উদ্দেশ্যে সীতা রাণী ঘোষের নামের স্থলে পুত্রবধূ শ্যামলী রাণী ঘোষের নামের ভুয়া ওয়ারেশ কাম সার্টিফিকেট তৈরি করে ১১ শতক জমি নামজারি করিয়ে নেয়। যাহার মিউটেশন মামলা নাম্বার ১১৯৬৬। শ্যামলী রাণী ঘোষ ও ভুমি দস্যু দালাল বাহিনীর যোগসাজশে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে মিউটেশন করে নেয়।
পরবর্তীতে সীতা রাণী ঘোষ জালিয়াতির ঘটনা জানতে পেরে, বিমল চন্দ্র ঘোষের রেকর্ডীয় খতিয়ানের মালিকানা কাগজপত্র প্রদানে ১৫০ ধারা কেসের মাধ্যমে মিউটেশন সংশোধন পূর্বক তার নিজ নামে মিউটেশন করে নেয়।যাহার মিউটেশন মামলা নাম্বার ৪৫৫৫।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় একটি কুচক্রী মহল কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন ও ইউপি সদস্য নুর হকের বিরুদ্ধে জমি দখল, উচ্ছেদ ও নামজারি অপচেষ্টার মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। শ্যামলী রাণী ঘোষ বিমল চন্দ্র ঘোষের পুত্রবধূ। তার পুত্র দেবদাসের মৃত্যুর পর শ্যামলী রাণী ঘোষ ৩৯ শতক জমির মালিকানা লাভ করেছে। তবে হিন্দু সমপ্রদায়ের হিন্দু জমি বিক্রিতাদের কোনো অভিযোগ নেই। একটি কুচক্রী মহল তৃতীয় পক্ষ সেজে তাদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ চাঁদাবাজ ভুমি দস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল