Tuesday , 19 August 2025

নোয়াখালীতে জমি নিয়ে বিরোধ বাড়িতে হামলা ও জমি দখলের অভিযোগ

॥ এ আর আজাদ সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥

নো য়াখালী সদর উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঘরে ঢুকে ভাংচুর, হত্যার হুমকি প্রদান সহ জমিদখল ও বাড়ি থেকে উচ্ছের হুমকি অভিযোগ করেন বিদ্যুৎ রায়ের পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে ২নং দাদপুর ইউনিয়নের রামবল্লভপুর গ্রামে বিদ্যুৎ রায় চৌধুরীর বাড়িতে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ রায় চৌধুরীর স্ত্রী রুপা সাহা বাদী হয়ে ৩ জনকে বিবাদী করে সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অজ্ঞানামা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় বাদা দিতে গেলে তারা আমাদের উপরে হামলা করতে আসে। আমরা প্রান ভয়ে বাড়ি থেকে বাইরে চলে আসি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ,প্রতিপক্ষরা পুকুরের মাঝখান দিয়ে বাঁশের খুটি দিয়ে দখল করে ফেলেছে। একই সাথে বাড়ির উপরে বেড়া দিয়ে দখল করেছে। বিবাদী দাদপুর বাজারের ব্যবসায়ী মতিন চৌধুরী, তার ছেলে মোনেম চৌধুরী ও মহিন চৌধুরী গানের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘকাল থেকে বিরোধ চলে আসছে।এ নিয়ে আদালতে মামলও চলমান আছে।

রুপা সাহা জানান, প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক তাদের ঘরবাড়ি দখল করার পায়তারা করছে। ইতোমধ্যে তারা আমাদের পুকুরের মাছ, গাছের ফলফলাদিসহ ২০ টা গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং শ্মশান ঘাট সহ মালিকীয় ভূমিতে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করার চেষ্টা করছ। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশান ৪৭৬/ ২০২৪ইং মোকদ্দমা করলে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। প্রতিপক্ষ বিবাদীগণ নিষেধাজ্ঞা নোটিশ পেয়ে আরো বেপরোয়া ও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

গত ১৬ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অজ্ঞানামা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় বাদা দিতে গেলে তারা আমাদের উপরে হামলা করতে আসে। আমরা প্রান ভয়ে বাড়ি থেকে বাইরে চলে আসি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমতাবস্থায় আমরা বর্তমান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জীবন ও সম্পদে নিরাপত্তা দাবি করছি।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ মতিন চৌধুরীর ছেলে মমিন চৌধুরী জানান, বাড়িতে হামলার ঘটনা সম্পুর্ন মিথ্যা। আমি সঠিক মূল্য দিয়ে এই জমিটি খরিদ করি। আমার ভাই ও খরিদ করে। আমরা শান্তি চাই এ বিষয়ে বসে সমাধান করতে চাই। তাদের ঘরের ভিতরে আমাদের খরিদকৃত জায়গা থাকলেও মানবিক কারণে আমরা কিছুই করছি না। উপরন্ত তারা একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের সম্মানহানি ও হয়রানি করছে। আমরা তাদের হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। তারা হিন্দু বলে যা ইচ্ছা তা করতে পারে কিন্তু আমরা পারিনা।

সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করার জন্য এস আই কামালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Check Also

সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, প্রাণ সায়ের খালের পাড় সবুজে সজ্জিত

॥ মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥ প রিবেশ সুরক্ষায় অঙ্গীকার নিয়ে সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ …