।। আরজু আক্তার, হাতিয়া প্রতিনিধি।।
নোয়াখালীর হাতিয়া নিয়মিত মাদ্রাসায় উপস্থিত না থাকায় এক কোরআন হাফেজ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে তারই শিক্ষক ফয়সল। গুরুতর আহত শিক্ষার্থী বর্তমানে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ফাহিম মাদ্রাসায় দেরিতে আসার কারণ দেখিয়ে হেফজ শিক্ষার্থীকে শিক্ষক ফয়সল রুক্ষ মেজাজ ধারণ করে বিদ্যুতের তার দিয়ে এলোপাতাড়ি প্রহার শুরু করে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্য্যে ৭ টায় নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড চরকৈলাশ গ্রামের পৌর মদিনাতুল উলুম ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদ্রাসায়।
শিক্ষক দ্বারা নির্যাতিত শিক্ষার্থী ফাহিমের বয়স ৮ বৎসর। সে একই ওয়ার্ডের প্রবাসী জহির উদ্দিনের ছেলে। সে উক্ত মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে অধ্যয়নরত। হেফজ শিক্ষক ফয়সলের পিতার নাম আবুল খায়ের। তাদের বাড়ী সূবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরবৈশাখী থানার হাট এলাকায়।
ঘটনার স্থল ও এলাকাবাসী থেকে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ফাহিম মাদ্রাসায় দেরিতে আসার কারণ দেখিয়ে হেফজ শিক্ষার্থীকে শিক্ষক ফয়সল রুক্ষ মেজাজ ধারণ করে বিদ্যুতের তার দিয়ে এলোপাতাড়ি প্রহার শুরু করে। মাথায়, পিঠে ও বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতে আহত ফাহিমের শোর চিৎকারে আশপাশের অনেক লোক জড়ো যায়।
ঘটনা আস্মিকতায় মা ও আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ফয়সল ও সহকর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ দুইজন শিক্ষককে আটক করে। শিক্ষকের প্রহারে রক্তাক্ত ফাহিমকে দ্রæত হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
জনতার বিক্ষুদ্ধ ক্ষোভের মুখ থেকে বাঁচতে অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রসার পাঠাতনে উঠে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক ফয়সলকে ঘটনা স্থল থেকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল