॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
বা গেরহাট জেলায় মাদকচক্রের বিস্তার বেড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। জেলার ৯টি উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীর সংখ্যা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, গত বছরের তুলনায় এবার মাদক সংক্রান্ত অপরাধ ও মামলা উভয়ই বেশি।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে— বাগেরহাট সদর: ৯ জন, মোল্লাহাট: ২ জন, মোংলা: ৩ জন, চিতলমারী: ১ জন (পলাতক), মোংলা: ১ জন (পলাতক)। আইনি ব্যবস্থাঃ অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অনেকের অর্থদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারির মাঝেই গোপন পথ ধরে নিয়মিত ঢুকছে মাদকের চালান। বাগেরহাট সদর, মোংলা, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, কচুয়া, ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাট—এই ৯ উপজেলাজুড়ে বেশ সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীরা।
মোংলায় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থাঃ সমুদ্র বন্দর ও শিল্প এলাকার কারণে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বসবাস—যা মোংলা উপজেলাকে মাদক বিস্তারের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত করেছে। ফলে এখানে সেবনকারী ও ব্যবসায়ীর সংখ্যা অন্য উপজেলাগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিনিয়তই অভিযান চালিয়ে ধরা পড়ছে খুচরা বিক্রেতা, বাহক ও সেবনকারীরা।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ বিস্তারঃ এ অঞ্চলের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কিশোর-তরুণদের মধ্যে দ্রুত বাড়ছে মাদকসেবন। ফলে বাড়ছে কিশোর অপরাধ থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
অক্টোবর মাসের বড় অর্জনঃ বাগেরহাট জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মোঃ বুলু শেখ জানান, শুধু অক্টোবর মাসেই ৯ থানা এলাকায় অভিযানে— ✅ গ্রেপ্তার: ১৪ জন, ✅ পলাতক: ২ জন, ✅ জব্দ: ইয়াবা ৬১০ পিস ও গাঁজা ৯ কেজি ১০০ গ্রাম, তার ভাষায়—বাগেরহাট সদর থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে— বাগেরহাট সদর: ৯ জন, মোল্লাহাট: ২ জন, মোংলা: ৩ জন, চিতলমারী: ১ জন (পলাতক), মোংলা: ১ জন (পলাতক)। আইনি ব্যবস্থাঃ অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অনেকের অর্থদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিছু এলাকায় অভিযান কমঃ রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা ও কচুয়া উপজেলাগুলোতে কর্মকর্তার সংখ্যা কম থাকায় অক্টোবর মাসে তুলনামূলক কম অভিযান হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে আগামী সময়ে অভিযান আরও জোরদার হবে।
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল