॥ শেখ রানা, বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ঢাকার নবাবগঞ্জের জয়কৃঞ্চপুর ইউনিয়নের বামুয়াহাটি এলাকার শেখ আকবর তালুকদারের বাড়ির হাস চুরি করাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও গোয়ালঘরে আগুন দিয়ে গরু, ছাগল পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার প্রতিবেশী রজ্জবের ভাগিনা আকাশের(১৮) বিরুদ্ধে।শনিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত রবিবার শেখ আকবরের বাড়ি থেকে কয়েকটি হাস চুরি হয়ে যায়। আর সেই হাস চুরির অভিযোগ উঠে প্রতিবেশী রজ্জবের ভাগিনা আকাশের বিরুদ্ধে। আকাশ প্রায় কয়েকবছর ধরে তার খালু রজ্জবের বাসায় থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা।
একই এলাকার মৃত শেখ শফিউদ্দিনের ছেলে সজীব(২৭) আকাশকে ব্যাগে ভরে হাস নিয়ে যেতে দেখেছে এমন সাক্ষী দিলে গতকাল সকালে সজীবের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আকাশ। তখন প্রতিবেশীরা এসে ফিরিয়ে দেয়। ঘটনার পর আকবর তালুকদারের স্ত্রী সামছুন্নাহার নবাবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ঝগড়ার সময় আকাশ বিভিন্ন কথা বলে হুমকি দেয় আকবরের পরিবারের সদস্যদের।
দিনে ঝগড়া হয় আর রাতেই আকস্মিক ভাবে আকবরের গোয়াল ঘরে আগুন লেগে তিনটি গরু সহ দুটি ছাগল ও গোয়াল ঘর পুরে ছাই হয়ে যায়। গোয়াল ঘরে আগুন লাগায় আকবরের পরিবার সহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন এঘটনা আকাশ ঘটিয়েছে।
এবিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে হাসচুরি ও মারামারির ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তবে কে গোয়াল ঘরে আগুন লাগিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। আগুন লাগার পর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী সামছুন্নাহার বলেন, রবিবার আমি বাড়ির হাস চুরির সন্দেহে আকাশদের বাড়িতে যাই বিচার দিতে, তখন উল্টো আমাকে মারতে আসে তারা। পরে সাক্ষী সহ প্রমান হয় আকাশ হাস চুরি করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল সজীবকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মারার জন্য হামলা করে আকাশ।
আর তখন বলে আমার গরুও নিয়ে যাবে। আর রাতেরই আগুন লাগে গোয়ালে। তিনি বলেন,আমার সব শেষ হয়ে গেছে। গরু ছাগল যা ছিলো সব মরে গেছে। আমি শেষ হইয়া গেছি। এ আগুন আকাশই লাগাইছে, ওই হুমকি দিছিলো।
সকালবেলা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জয়কৃঞ্চপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএম কুদ্দুস। এসময় তার দলের পক্ষ থেকে সহায়তা নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে থাকবেন বলে জানান।
অভিযুক্ত আকাশের বাড়িতে গিয়ে আকাশ ও রজ্জব কাউকেই পাওয়া যায় নি। রজ্জবের স্ত্রী জানান, আকাশ হাস চুরি করেনি। গতকালকে হাতাহাতি হয়েছে কিন্তু কোন কুড়াল ছিলো না আকাশের কাছে। গতকালকের ঘটনার পর আকাশ এখান থেকে চলে গিয়েছে। গোয়াল ঘরে আকাশ আগুন দেয় নি।
বারুয়াখালী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।