॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
দেশব্যাপী লাগাতার ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষনের ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মোংলা থানা শাখা।
যদি ধর্ষণের বিচার না করা হয় এবং প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর না করা হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মোংলা থানা শাখার ব্যানারে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের মোংলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো: রেজাউল মৃধা, সহ-সভাপতি মাওঃ ইউসুফ ইকবাল, উপজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মো: ফরহাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো: শাহাদাৎ, সহ-সভাপতি মো: বায়জিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল বীন আ: আজিজ, ইসলামী যুব আন্দোলন মোংলা পৌর শাখার সহ-সভাপতি তারেক বীন সুলতান সহ অন্য নেতারাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, যেখানে আমার বোন আছিয়া হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, যেখানে আসামি তাদের দোষ শিকার করে নিয়েছে, সেখানে ধর্ষণের বিচার করতে ১৮০ দিন কেন লাগবে? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি আমাদের মা-বোনদের হয়রানির বিচার সুনিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে এ দেশের মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে৷ ধর্ষকের কোনো দলীয় পরিচয় নেই, তার একটাই পরিচয় সে অপরাধী।
যদি ধর্ষণের বিচার না করা হয় এবং প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর না করা হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশে ধর্ষণ আজ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও আমাদের মা-বোনেরা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, অথচ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব অপরাধ দমনে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
আমরা মনে করি, বর্তমান বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। ইসলামই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে। ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সমাজ থেকে ধর্ষণ ও সব ধরনের অনৈতিকতা নির্মূল করা সম্ভব।