॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
মোং লায় দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে সাদামাটার মত কর্মসুচির মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় মোংলা পৌর বিএনপির আয়োজনে মাদ্রাসা রোডস্থ অস্থায়ী কার্যলয়ে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বাদ জুমা শহরের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল করা হয়।
তারেক রহমানকে বন্দি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এই জনপ্রিয়তম নেতাকে হত্যার জন্য পঙ্গু করে দেওয়া হয়। তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে বন্দি করা হয়। চলে নিপীড়ন। সুস্থ সবল আরাফাত রহমান জেল থেকে বের হন মুমূর্ষু অবস্থায়। এরপর আর একদিনের জন্যও সুস্থ হননি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মো: জুলফিকার আলী বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন এবং অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নয়া এই স্বাধীনতার সুফলকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে এবং আইনের শাসনের পথ বেয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানতে সুসংহত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বেগম খালেদা জিয়াই একমাত্র নেত্রী, যিনি অন্তত ১১ বার বন্দিদশা মোকাবেলা করে স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে ভ্রুকুটি করে ষড়যন্ত্র ও কুটিলতার জাল ছিন্ন করে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উজ্জ্বল পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছিলেন এবং সফলকাম হয়েছিলেন।
খালেদা জিয়ার ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত আসে ওয়ান ইলেভেনের সময়। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির সেনানিয়ন্ত্রিত সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ জিয়া পরিবারের ওপর নেমে আসে নির্মম উৎপীড়ন-নির্যাতনের ভয়াবহতা। খালেদা জিয়াকে বন্দি করে সাব-জেলে নিক্ষেপ করা হয়। দেশ ত্যাগে বাধ্য করতে তার ওপর নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়।
তারেক রহমানকে বন্দি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এই জনপ্রিয়তম নেতাকে হত্যার জন্য পঙ্গু করে দেওয়া হয়। তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে বন্দি করা হয়। চলে নিপীড়ন। সুস্থ সবল আরাফাত রহমান জেল থেকে বের হন মুমূর্ষু অবস্থায়। এরপর আর একদিনের জন্যও সুস্থ হননি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় খালেদা জিয়া-তারেক রহমান ও বিএনপি বিনাশের নীলনকশা। রাজনীতির বাঁকে বাঁকে বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে তিনি এগিয়েছেন। অর্জন করতে পেরেছেন মানুষের আস্থা। কর্মগুণে তিনি মানুষের ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছেন।
আলোচনা সভা শেষে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ সময় অন্যানের মধ্যে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মো: খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম ব্যাপারী সহ বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মি উপস্থিত ছিলেন।