॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
কয়লা দূষণ বন্ধ করে সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদী বাঁচাও। নোংরা কয়লার ব্যবহার বন্ধ করে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করো। ২০৩৫ সালের মধ্যে এশিয়া থেকে কয়লা ভিত্তিক জ্বালানি প্রকল্প তুলে দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়লার পরিসমাপ্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তর এখন সময়ের দাবি।
পরিচ্ছন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করতে হবে। কয়লা নির্ভরতার অবসান কেবল পরিবেশের জন্যই নয়, এই অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য এবং আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
জলবায়ুু ন্যায্যতার জন্য বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের অংশ হিসেবে মোংলায় ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন কর্মসুচি উপলক্ষে নৌ র্যালি ও মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে নৌ র্যালি এবং মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
শুক্রবার সকালে মোংলার পশুর নদীতে নৌ র্যালি এবং পশুর নদী পাড়ে মানববন্ধন কর্মসুচিতে সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশ আন্দোলনের নেতা মোঃ নূর আলম শেখ।
এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নেতা গীতিকার মোল্যা আল মামুন, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমুল হক, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশর কমলা সরকার, হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার চন্দ্রিকা মন্ডল, মারুফ বিল্লাহ,রাসেল শেখ, মেহেদী হাসান বাবু প্রমূখ। মানবন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন কয়লার নির্ভরশীল বৃহত্তম বাজার হচ্ছে এশিয়া।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়লার পরিসমাপ্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তর মাইলফলক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচ্য হবে। সভাপতির বক্তব্যে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশ আন্দোলনের নেতা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন অবিলম্বে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্পসহ সকল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে হবে।
পরিচ্ছন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করতে হবে। কয়লা নির্ভরতার অবসান কেবল পরিবেশের জন্যই নয়, এই অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য এবং আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
উল্ল্যেখ্য এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন টু কয়লার পরিসমাপ্তি সওয়াল-জবাবে কর্মসুচি উপলক্ষে নৌ র্যালি ও মানববন্ধনে কয়েকশো নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নৌ র্যালি ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কয়লাবিরোধী নানা রঙের প্লাকার্ড এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।