॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
মোং লা উপজেলার নারিকেলড়তলা আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকা এখন অপরাধীদের অভায়রন্যে পরিনত হয়েছে। ৮/১০ জনের অপরাধ চক্রের এ গ্রæপটি ৫ আগষ্টের আগে আ’লীগের নেতৃত্বস্থানে থাকলেও এখন ক্ষমতাশীন একটি রাজনৈতিক দলের কঁধে উঠে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এতে অসহায় ও নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে আশ্রয়নে বসবাসকারী নারী-পুরুষ ও শিশুরা।
কমিটি আবাসনে বসবাসকারীদের দেখবাল সহ তাদের সুখ-দুঃখ ও ভাল-মন্দ সুন্দর ও সঠিক ভাবে বসবাস করার জন্য দিক নির্দেশনা সহ বস কিছুই পরিচালনা করবে। কিন্ত ক্ষমতা পেয়ে নিজেরাই একটি বড় সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার অসহায় মানুষদের করছে মারধর, ঘের দখল, জমি দখল, মাছ লুট সহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এখানে সন্ধ্যা নামলেই মরণ নেশা গাঁজা-ইয়াবা সহ সব অপরাধ মুলক সব কর্মকান্ডই চলছে অহরাহ। এতে যেমন ধ্বংশ হচ্ছে উঠতি বয়সের যুব সমাজ, আর প্রতিনিয়ত আতংঙ্কে থাকতে হচ্ছে সাধারণ বসবাসকারীদের। প্রতিবাদ করায় তাদের হাতে এ পর্যন্ত নারী-পুরুষ সহ বেশ কয়েজন জখমও হয়েছে। তবে প্রশাসন বলছে, অভিযোগ পেয়েছি, ব্যাবস্থা নেয়া সহ ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
থানার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোংলা উপজেলার চাদপাই ইউনিয়নের নারকেলতলা এলাকায় ৪টি আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় হাজারো পরিবার বসবাস করে। হাসিনা সরকারের আমলে এ আবাসন পরিচালনার জন্য মোঃ আলাউদ্দিনকে সভাপতি ও আলমগীর হোসেনকে সম্পাদক সহ আরো ১৩ জনকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি আবাসনে বসবাসকারীদের দেখবাল সহ তাদের সুখ-দুঃখ ও ভাল-মন্দ সুন্দর ও সঠিক ভাবে বসবাস করার জন্য দিক নির্দেশনা সহ বস কিছুই পরিচালনা করবে। কিন্ত ক্ষমতা পেয়ে নিজেরাই একটি বড় সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার অসহায় মানুষদের করছে মারধর, ঘের দখল, জমি দখল, মাছ লুট সহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এই গ্রুপটি গত ৫ আগষ্টের পর স্থানীয়দের কয়েকটি চিংড়ি ঘের জোর পুর্বক দখল করে রেখেছে। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চালানো হয় জুলুম অত্যাচার, নির্যাতন ও মারধর।
উপজেলা থেকে বরাদ্ধ দেয়া এ আবাসনে বড় বড় ৪টি পুকুর রয়েছে। কথাছিল এ পুকুরে সকলে মিলে সুপেয় পানি ব্যাবহার করবে এবং মাছ চাষ করে সকলে মিলে তা ভাগ করে নিবে। কিন্ত ওই সকল নেতৃবৃন্দরা আবাসনের এ পুকুরে মাছ চাষ করে দীর্ঘ প্রায় ৮/১০ বছর সে মাছ বসবাসকারীদের না দিয়ে নিজেরা নিচ্ছে এবং বিক্রি করে তা আত্মসাত করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করে ভুক্তভোগীরা।
এছাড়াও ওই আবাসন এলাকায় গাঁজা ইয়াবারমতো মরণ নেশা পাচার ও ব্যাবসার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের মধ্যে অনেইে। এছাড়া দীর্ঘদিন সেই পুকুক থেকে আত্মসাত করা মাছ এবং মাছ বিক্রির টাকার হিসাব চাইতে গেলে বিভিন্ন তালবাহানা করছে তারা। গত এক সপ্তাহ যাবত এ হিসাব-নিকাশ নিয়ে সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বসবাসকারীদের মধ্যে প্রথমে বাক-বিতান্ডা এবং পুর্বে হিসাব চাওয়া হয়। এ নিয়ে ভ্যান চালক ওমর ফারুক সহ বেশ কয়েকনকে মারধর করে আলাউদ্দিন, আলমগীর মল্লিক, ধনু মান্নান সহ অনেকে বলে থানায় দেয়া অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
রবিবার বিকেলে হিসাবের বিষয় প্রতিবাদ করে মুন্নি নামের এক নারী। এদিন রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আলাউদ্দিন, আলমগীর মল্লিক, ধনু মান্নান, ছালমা বেগম, শফি শেখ, মোঃ রাকিব মাতুব্বর ও মিজান মাতুব্বর সহ প্রায় ১০/১২ জনে মিলে হাজেরা খাতুন মুন্নি বেগম নামের স্বামী পরিত্যাক্ত এক নারীকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ছোট্র দুই শিশু মাকে বাঁচাতে গেলে তারদের মারধর করা হয়। এ ব্যাপারে আগেও বেশ কয়েকবার অভিযোগ করা হলে কোন ব্যাবস্থা নেয়নী পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে মোংলা থানার সামনে ছোট্র শিশুদের নিয়ে অবস্থান নেয় ভুক্তভোগীরা। এ সকল সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে মুন্নি বেগম ও ওমর ফারুক বাদি হয়ে থানা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক বেশ কয়েটি অভিযোগ দিয়েছে মুন্নি সহ অন্যান্য ভুক্তভোগীরা।
মোংলা থানার ওসি মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, নারকেলতলা আবাসনে গরিব ও অসহগায় লোকজন বসবাস করছে। সেখানে কমিটির বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতিও এক নারী সহ ২টি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনার শোনার পর পরই ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তদন্তও চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থ নেয়া হচ্ছে।