॥ এম আরিফুল ইসলাম, সলংগা, (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সি রাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ কর্তৃক হাটিকুমরুল গোলচত্তর এলাকায় ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে সিরাজগঞ্জ রোড হাটিকুমরুল গোলচত্তর এলাকায় আরাফাত হোসেন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীকে সনাক্তপূর্বক আসামী মোঃ ফিরোজ(২১), পিতা-মোঃ আলম শেখ, স্থায়ী সাং-মন্ডলপাড়া(বাইমোলা), চান্দাইকোনা, থানা-রায়গঞ্জ, জেলা-সিরাজগঞ্জ, এ/পি-রাধানগর(পুরাতন ফুড ভিলেজের পিছনে), থানা-সলংগা, জেলা-সিরাজগঞ্জ ও মোছাঃ জুলেখা খাতুন(২১), পিতা-মোঃ সামছুল হক, স্থায়ী সাং-তারুটিয়া উত্তরপাড়া, থানা-সলংগা, জেলা-সিরাজগঞ্জ এ/পি-সাং-দত্তকুশা বুড়িরবাড়ী (রহম আলীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-সলংগা, জেলা-সিরাজগঞ্জদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আসামী ফিরোজ ক্ষিপ্ত হয়ে পার্শ্বে থাকা ইট দিয়ে ডিসিষ্ট হোসেন খাঁ ওরফে আরাফাত খাঁন এর মাথায় বারি মারে, এতে ডিসিষ্ট মাটিতে পরে যায় এবং আরাফাতের মুখে পরপর কয়েকটি বারি মেরে মুখমন্ডল থেতলে দেয় এবং ঘটনাস্থলে আরাফাত মারা যায়। আসামী ফিরোজ ও মোছাঃ জুলেখাসহ অন্যান্য আসামীগণ দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, আসামী মোঃ ফিরোজ ও ডিসিষ্ট হোসেন খাঁ ওরফে আরাফাত খাঁন প্রকৃত চোর। একই সাথে বিভিন্ন সময়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় চুরি করতো। চুরির টাকা ভাগ করার সময় আরাফাত ফিরোজের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫,০০০/- টাকা নেয়।
আসামী ফিরোজ উক্ত পাওনা টাকা বিভিন্ন সময় চাইলে টাকা দিত না। গত ২২/০৫/২০২৫ খ্রিঃ আরাফাতের সাথে আসামী ফিরোজ পাবনা রোডের ভাঙ্গা গেস্ট হাউজের পিছনে রাখা পাইপ চুরি করার পরিকল্পনা করে এবং দুই হাজার টাকার বিনিময়ে মোছাঃ জুলেখাকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব করে। জুলেখা উক্ত প্রস্তাবে রাজি হয়। ২৩/০৫/২০২৫ খ্রিঃ রাত ০১.০০ ঘটিকার সময় মোছাঃ জুলেখাকে নিয়ে ডিসিষ্ট আরাফাত খাঁন ও আসামী মোঃ ফিরোজসহ আরো ০২ জন সলংগা থানাধীন হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বরস্থ রোড এন্ড হাইওয়ের পরিত্যাক্ত রেষ্টহাউজ এর বাউন্ডারী ওয়ালের পিছনে পরিত্যাক্ত জায়গায় গেলে আসামী মোঃ ফিরোজ পূর্বের পাওনা ৫,০০০/- টাকা পুনরায় চাইলে ডিসিষ্ট ক্ষিপ্ত হয়ে ফিরোজকে চর-থাপ্পড় মারে।
এতে আসামী ফিরোজ ক্ষিপ্ত হয়ে পার্শ্বে থাকা ইট দিয়ে ডিসিষ্ট হোসেন খাঁ ওরফে আরাফাত খাঁন এর মাথায় বারি মারে, এতে ডিসিষ্ট মাটিতে পরে যায় এবং আরাফাতের মুখে পরপর কয়েকটি বারি মেরে মুখমন্ডল থেতলে দেয় এবং ঘটনাস্থলে আরাফাত মারা যায়। আসামী ফিরোজ ও মোছাঃ জুলেখাসহ অন্যান্য আসামীগণ দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।