॥ মাসুদ রানা,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
মোং লায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ঘর দখলের নালিশ করতে গিয়ে এক নারীকে আক্রোশ বসত মারধর ও চোখঁ উপড়ে ফেলার চেষ্টা সহ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।ওই ঘরে বেশ কিছু দিন বসবাস করার পর হঠাৎ তার এক মাত্র ছেলের হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় ঘরটি তালা বন্ধ রেখে ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে চলে যায়। ছেলের চিকিৎসা শেষে আবাসনে এসে দেখে সরকারী বরাদ্ধ পাওয়া তার ঘরটি অভিযুক্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম, খুসি বেগম, আম্বিয়া বেগম সহ তার পরিবারের অন্যান্য লোকজন জোর পুর্বক ঘরটি দখল করে বসে আছে।
মঙ্গলবার ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর দপ্তরের সামনে এঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমফ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে ও ভুক্তভোগীরা জানায়, কাকলী বেগম নামের এক অসহায় নারীকে মোংলা নারিকেলতলা পাকখালী আবাসনে তার নামে একটি সরকারী ঘর বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ। ওই ঘরে বেশ কিছু দিন বসবাস করার পর হঠাৎ তার এক মাত্র ছেলের হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় ঘরটি তালা বন্ধ রেখে ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে চলে যায়। ছেলের চিকিৎসা শেষে আবাসনে এসে দেখে সরকারী বরাদ্ধ পাওয়া তার ঘরটি অভিযুক্ত মোঃ শহিদুল ইসলাম, খুসি বেগম, আম্বিয়া বেগম সহ তার পরিবারের অন্যান্য লোকজন জোর পুর্বক ঘরটি দখল করে বসে আছে।
এ ব্যাপারে তাকে ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য জিজ্ঞেস করতে গেলে উল্টো তাকে মারধর সহ বিভিন্ন রকম প্রান নাশের হুমকি-ধামকি দেয় বলে অভিযোগ করেণ আহত কাকলী বেগম। ওই নারীর নিজেস্ব কেউ না থাকায় অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে অসহায় হয়ে পরে এবং স্থানীয় এক আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে বিচার সালিশের ব্যবস্থা করলেও প্রতিপক্ষরা কাউকেই মানছেন না বলেও থানার অভিযোগে
উল্লেখ করা হয়।
অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য তার বড় বোন মর্জিনা বেগমকে সাথে নিয়ে মোংলা উপজেলা পরিদষদের সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিসের সামনে গেলে প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পরে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে দুই বোনকে।
একপর্যায়ে কাকলী বেগমের আমার বড় বোন মর্জিনা বেগমের ডান চোখের ভিরতে আঙুল দিয়ে উপগেড় ফেলার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এসময় তাদের ডাকচিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে এসে উপস্থিত লোকজনের সহযোগীতায় আহত ওই নারীকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার পর পরই মোঃ শহিদুল ইসলাম, খুসি বেগম, আম্বিয়া বেগম সহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে মোংলা থানার ওসি তদন্ত মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনে একটি মারামারীর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করা হবে, যদি ঘর দখলের বিষয়টি সত্য হলে তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশনায় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।