Saturday , 18 October 2025

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বসতবাড়িতে তীব্র ফাটল ৪ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

॥  আসাদুর রহমান হাবিব,  দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥

দি নাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভস্থ থেকে কয়লা উত্তোলনে ডাম্পিং বিষ্ফোরণের তীব্র কম্পনে অনধিগ্রহনকৃত জায়গা দেবে গিয়ে খনি এলাকার অনধিগ্রহণকৃত বসতবাড়িতে তীব্র ফাটল দেখা দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর ৪ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

 

তিনি আরও বলেন গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রামগুলি সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর দেবে গেছে এবং ফাটল ধরেছে।

বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় পার্বতীপুর উপজেলার ৯ নং হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরাপাড়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর উদ্যোগে বড়পুকুরিয়া খনি এলাকার বসতবাড়ি রক্ষা কমিটি ৪ দফা দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে বলেন আমাদের ৪ দফা দাবি নিয়ে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন (১) বাড়িঘরে ফাটল সংস্কার বসতির উপযোগী হওয়া(২)রাস্তা সংস্কার চলাচলের উপযোগী করা(৩)সুপেয় পানির সমস্যা সমাধান করা(৪) চাকুরী উপযোগীদর চাকরি দেয়া তিনি বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামগুলোতে বসবাস করে আসছি কয়লাখনির ভূগর্ভস্থ থেকে কয়লা উত্তোলন সহ ডাম্পিং বিষ্ফোরণের তীব্র কম্পনে পাতরাপাড়া বৈদ্যনাথপুর অনধিগ্রহণকৃত জায়গা দেবে গিয়ে এলাকার ৫ শতাধিক বাড়ি ঘর দেবে যায় এবং তীব্র ফাটল দেখা দেয় যার ফলে স্ত্রী সন্তান পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা আতঙ্কে বসবাস করছি দীর্ঘ এক যুগ কেটে গেলেও রাস্তাগুলো এখনো সংস্কারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি খনি কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণকৃত এলাকা হওয়াই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ কাজ করবেন না বলে জানান এই বিষয়গুলো কয়লাখনির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কে অবহিত করলেও তিনি এলাকার কোন মানুষের কথা কর্ণপাত করেননি।

তিনি আরও বলেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী প্রায় যুগ ধরে বহুবার আন্দোলন সংগ্রাম করেছি কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি খনি কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছে কাজের কাজ কিছুই হয়নি তাঁরা রাস্তা ও বসবাসের গ্রামগুলোর দিকে নজর না দিয়ে অন্যান্য মৌজার জমিগুলো অধিগ্রহণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেখানে তাঁরা লাভ দেখছেন পাতরাপাড়া গ্রামটির পূর্বাংশে দেড় থেকে দুই হাত দেবে গেছে যার ফলে অর্ধশতাধিক বসতবাড়িতে তীব্র ফাটল দেখা দিয়েছে বর্তমানে ঐ গ্রামের মানুষ করুন অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

গত ২১/৫/২৫ তারিখে প্রতিকার পাওয়ার আসায় প্রধান উপদেষ্টা সহ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়গুলো অবগত করি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।

তিনি আরও বলেন গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রামগুলি সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর দেবে গেছে এবং ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্থ খনি এলাকার শহিদুল ইসলাম মোছাঃ মহসিনা বেগম মোঃ মামুন সুলতান মাহমুদ সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন বাড়ি ঘরের এই অবস্থায় বসবাস করা আর সম্ভব নয় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক পরিচালক আবু তালেব ফরাজীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের সার্ভে টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে প্রতিবেদন এখনো হাতে এসে পৌঁছায়নি প্রতিবেদন হাতে পেলে দ্রুত কাজ করা হবে।

Check Also

এসিল্যান্ডকে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিদায় সম্বর্ধনা।

॥  আসাদুর রহমান হাবিব,  দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ দি নাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) …