॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
পা নির স্রোত বৃদ্ধির ফলে নদী ভাঙন ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। ফলে বিলিন হতে বসেছে মোংলা বন্দরের সাথে নৌ-যোগাযোগের এক মাত্র রুট আন্তর্জাতিক ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলের দুই পাড়। গত এক মাসে ভাংঙ্গনের কবলে পড়ে নদীর গর্ভে বিলিন হয়েছে কয়েক কোটি টাকা ব্যায় নির্মিত মোংলা পৌরসভার যাত্রী পাড়াপারের ঘাট, যাত্রী ছাউনী, পাকা ঘাট ও লেবার জেটি সহ বেশ কিছু এলাকা।
গত এক মাস ধরে হঠাৎ মোংলার দক্ষিন পাড়েরর অংশ সহ প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙ্গনে নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে কয়েক কোটি টাকা ব্যায় নির্মিত পাড়াপারের পৌর ঘাট, যাত্রী ছাউনী, মেরিন ড্রাইভ, লেবার জেটি ও এর আশপাশ এলাকায়।
যাত্রীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে বিকল্প ঘাট দিয়ে পাড়াপার হলেও প্রতিনিয়তো ঘটছে দুর্ঘটনা। যাত্রীদের প্রানহানী আর দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় পল্টুন সংযোগ সহ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পৌর প্রশাসনের।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়ম, মোংলা সমুদ্র বন্দর সংলগ্ন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আন্তজার্তিক ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলের দক্ষিন তীরে অবস্থিত প্রথম শ্রেনীর মোংলা পোর্ট পৌরসভা। গত এক মাস ধরে হঠাৎ মোংলার দক্ষিন পাড়েরর অংশ সহ প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙ্গনে নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে কয়েক কোটি টাকা ব্যায় নির্মিত পাড়াপারের পৌর ঘাট, যাত্রী ছাউনী, মেরিন ড্রাইভ, লেবার জেটি ও এর আশপাশ এলাকায়। আরো বিলিন হওয়ার পথে শহর রক্ষা সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ৪ থেকে ৫ কিলো মিটার জুড়ে বসতী এলাকা।
ভাঙ্গনের কবলে পরে নদীতে তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেঠে নদী পাড়াপারের পৌর ঘাট, যাত্রী ছাউনী ও ভেড়ীবাধ। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জিও ব্যাগ ব্যাবহার করেও তা রোধ করতে পারছেনা। বিশেষ করে এ ঘাট দিয়ে মোংলা সমুদ্র বন্দর, ইপিজেড ও ইকোনমিক জোন সহ শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রায় ৫৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারী দিয়ে প্রায় লক্ষধিক লোক প্রতিনিয়ত নদী পাড়াপার হচ্ছে। বিকল্প ঘাট দিয়ে পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। নদীর ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মোংলা পোর্ট পৌরসভা সহ নদী পাড়ের হাজারো মানুষ। আর হুমকির মুখে রয়েছে পৌর ভবন, শহর রক্ষাবাধ ও এখানকার ব্যবসায়ীরা।
নদী পাড়াপারে পৌরসভার যাত্রী ছাউনি ও যাত্রী ওঠা-নামার ঘাটটি নদীতে বিলিন হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাচঁতে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চালাচালীও করেছে পৌর প্রশাসন। সম্প্রতি পৌর ঘাটটি পুনরায় নির্মান করতে না পারলেও যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে একটি পল্টুন দেয়ার জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে সরকার, কিন্ত তার কাজও ফাইল বন্ধি আছে পৌর প্রশাসেনর কাছে। তাই এ ঘাটটির কাজ দ্রæত শুরু করা সহ পৌর শহর রক্ষা আর যাত্রী ভোগান্তি থেকে বাচঁতে চায় এখানাকার মানুষগুলো।
বর্ষা মৌসুম চলছে। আরো মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে দেশের অন্যান্য জেলার নৌ-যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোংলা-ঘষিয়াখালীর এ নৌ-ক্যানেল। এছাড়া মোংলা ও বন্দর ভারতগামী পণ্যবাহী কার্গো জাহাজও এ পথ দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করে। দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে সল্প সময়ের মধ্যে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রথম শ্রেনীর মোংলা পোর্ট পৌরসভাটি।
মোংলা পোর্ট পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার সুমী বলেন, পানির ¯স্রোতের প্রখড়তা অধিক তাই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে, এটা নিয়ে আমরা পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন উদ্ভীগ্ন। তবে যাত্রীদের ভোগান্তি রক্ষায় যাত্রীরা ওঠা-নামার জন্য পুরানো ঘাটের কিছু দুড়ে নতুন একটি সিড়ি করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নদী পাড়াপারে যাত্রীদের জন্য মজবুত একটি পল্টুন সংযোগ দেয়ার জন্য চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সরকারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আমার জন্মস্থান মোংলায়, তাই মোংলাবাসীর যেন ভোগান্তিতে পরতে না হয় সে জন্য মোংলা নদী পাড়াপারের জন্য পৌর ঘাটে আপাদত একটি পল্টুন দেয়ার জন্য সরকারের কাছে এক কোটি টাকার একটি প্রকল্প বরাদ্ধের সহায়তা করা হয়েছে। সেই প্রকল্পটি পাশও হয়েছে, এ কাজ শেষ হলে যাত্রীরা ভোহগান্তি থেকে রক্ষা পাবে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারা দেশের নৌ-চলাচল ঠিক রাখতে ২০১৪ সালে ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথটি চালু করা হয়। কিন্ত এখন তাতে ভাঙগন দেখা দেয়ায় চরম নিরাপত্তায় হীনতায় দিন কাটছে নদী পাড়ের মানুষের।