॥ আরিফুল ইসলাম আরিফ, উল্লাপাড়া ( সিরাজগঞ্জ) জেলা প্রতিনিধি ॥
উ ত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন-জীবন। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী সামনে আরও কয়েকদিন শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকতে পারে। এতে করে উল্লাপাড়ায় শীতবস্ত্রের বাজার আরও জমজমাট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
এমন পরিস্থিতিতে শীতবস্ত্র কিনতে উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও বাজার এলাকার ফুটপাতগুলো যেন পরিণত হয়েছে অস্থায়ী শীতবস্ত্রের হাটে।
বিশেষ করে উল্লাপাড়া পৌর বাজার, রেলগেট এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে গড়ে ওঠা শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, মাফলার, টুপি ও শিশুদের গরম পোশাক কিনতে ছুটছেন নানা বয়সী পেশার মানুষ। ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার-পরিজনের জন্য শীতের কাপড় কেনার তাগিদে বাজারে আসছেন ক্রেতারা।
দোকানিরা জানান, স্বল্প আয়ের মানুষজন তুলনা-মূলক কম দামে শীতবস্ত্র পাওয়ায় ফুটপাতের দোকানেই বেশি ভিড় করছেন। এখানে ৪০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যেই বিভিন্ন মানের সোয়েটার ও জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের জন্য ফুটপাতই হয়ে উঠেছে প্রধান ভরসা। কেউ কেউ দরদাম করে একসঙ্গে পরিবারের একাধিক সদস্যের জন্য শীতবস্ত্র কিনছেন।
একজন ক্রেতা জানান, এ বছর হঠাৎ করেই ঠান্ডা বেড়ে গেছে। বাজারের দোকানের তুলনায় ফুটপাতে কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যাচ্ছে, তাই এখান থেকেই কিনছি। অন্যদিকে দোকানিরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকেই বলছেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে। কেউ কেউ রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছেন। শীত আরও বাড়লে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দিনমজুর, রিকশাচালক, পথশিশু ও ভাসমান মানুষদের। সন্ধ্যার পর ঠান্ডা আরও বেড়ে যাওয়ায় তাদের কষ্ট চরমে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় সমাজের বিত্তবানদের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী সামনে আরও কয়েকদিন শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকতে পারে। এতে করে উল্লাপাড়ায় শীতবস্ত্রের বাজার আরও জমজমাট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল