॥ আশিকুর রহমান, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সি রাজগঞ্জ জেলাজুড়ে আলোচিত মিজান হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী মোঃ সিয়াম আকন্দ ওরফে সিয়াম হোসেন মোল্লা (২২) কে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ প্রশাসন ।
বেলকুচি থানার ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর তদন্তে কাজ করছে। অপরাধী যতই প্রভাবশালী বা চতুর হোক না কেন, আইন তার নাগাল পাবে। মিজান হত্যা মামলার বাকি আসামীদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলকুচি থানার মামলা নং-৭, তারিখ ১৪/১০/২০২৫ খ্রি., জিআর নং-১৪০/২০২৫, ধারা ১৪৩/৩০২/৩২৩/৪২৭/ ৫০৬/১১৪ /৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এর অধীনে দায়েরকৃত এই হত্যা মামলার আসামি সিয়াম দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তিনি বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাতী গ্রামের ইসমাইল হোসেন মোল্লা ছেলে।
সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন এর সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে, বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ সায়মন শেখ এবং তার সঙ্গীয় ফোর্স আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করেন।
পরে ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে, মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন জাগীর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামী সিয়াম আকন্দকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, এবং মামলার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির স্বার্থে রিমান্ডের আবেদন দাখিল করা হয়েছে, বলে পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।
জানা যায় যে, গত ৮ অক্টোবর রাতে বেলকুচি উপজেলার আদাচাকি- উত্তর চন্দনগাতি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মিজান নামের এক তরুণ নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই প্রধান আসামিসহ কয়েকজন পলাতক ছিলেন।
পুলিশ প্রশাসন জানায়, বাকি আসামীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে, এবং অচিরেই পুরো হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উন্মোচিত হবে।বেলকুচি থানার ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর তদন্তে কাজ করছে। অপরাধী যতই প্রভাবশালী বা চতুর হোক না কেন, আইন তার নাগাল পাবে। মিজান হত্যা মামলার বাকি আসামীদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
অন্যদিকে, এ ঘটনায় নিহত মিজানের পরিবার ও এলাকাবাসী সিয়াম আকন্দের গ্রেফতারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। এই গ্রেফতারি অভিযানকে স্থানীয়রা বেলকুচি থানা পুলিশের পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতার উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।
global sangbad 24 অনলাইন নিউজ পোর্টাল