॥ আরিফুল ইসলাম আরিফ, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
সি রাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলস্টেশনে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চিলাহাটি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস এর বিরতির দাবিতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন।
উল্লাপাড়া রেলস্টেশন দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশন। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এখান থেকে যাতায়াত করেন। অথচ তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন উল্লাপাড়ায় না থামায় যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। চিকিৎসা, শিক্ষা ও কর্মস্থলে যাতায়াত করতে গিয়ে মানুষকে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
০২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে উল্লাপাড়া রেলস্টেশন এলাকায় সকাল থেকেই শিক্ষার্থী-জনতা জড়ো হয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন শুরু করে। ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয় ।
এ সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনে আটকা পড়ে এবং প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে শাটডাউন তুলে নিলে ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের ৩০ মি:পর তার গন্তব্য যাত্রা শুরু করে।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, উল্লাপাড়া রেলস্টেশন দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশন। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এখান থেকে যাতায়াত করেন। অথচ তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন উল্লাপাড়ায় না থামায় যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। চিকিৎসা, শিক্ষা ও কর্মস্থলে যাতায়াত করতে গিয়ে মানুষকে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, রাজধানী ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পড়াশোনা করতে যাতায়াতের সময় উল্লাপাড়ায় বিরতি না থাকায় তাদের বিপাকে পড়তে হয়। অনেক সময় পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে কিংবা ভর্তি পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ট্রেনে উঠতে না পেরে ভোগান্তির শিকার হন তারা।
মানববন্ধন ও শাটডাউন কর্মসূচিতে বক্তারা দ্রুত উল্লাপাড়া স্টেশনে চিলাহাটি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।শাটডাউন শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আন্দোলনকারীরা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে তারা জানান ।