॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
মোংমোংলার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমার ৪ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হচ্ছে উপকূল। বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক জানান, পূর্ণিমার গোন, অতি বৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বেড়েছে মোংলার পশুর ও মোংলা নদীতে। এই দুই নদীর পানি বিপদসীমার ৪ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে মোংলার উপকূলে নিম্নাঞ্চল।
তলিয়ে গেছে বনসহ বনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তাঘাট। তবে পানিতে বনের ও করমজলের বন্যপ্রানীর কোন ক্ষয়ক্ষতি এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বনের অভ্যন্তরে উঁচু টিলা থাকায় সেখানে আশ্রয় নিতে পারছে বন্যপ্রানীরা। সুতরাং বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশংকা তেমন একটা নেই।
পৌর শহরের ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা মোঃ সেলিম বলেন, গত দুই-তিন ধরে পানির চাপ খুব বেশি। পানিতে ফেরিঘাট তলিয়ে গেছে। উপজেলার জয়মনিরঘোলের বাসিন্দা লুৎফর হাওলাদার বলেন, রাস্তা উপচে পশুর নদীর পানি ঢুকে বাড়ীঘর ও চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে।
এদিকে ২ফুট উচ্চার পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। সুন্দরবনের অভ্যন্তরের নিম্নাঞ্চলে পানির চাপ ও উচ্চা আরো বেশি। গোটা সুন্দরবনই স্থান বিশেষ দুই থেকে ৪ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। তবে বনের অভ্যন্তরে মাটির উঁচু টিলা থাকায় বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন না বনবিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বলেন, গত তিন দিন ধরে সুন্দরবনের ভিতরে পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে বনসহ বনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তাঘাট। তবে পানিতে বনের ও করমজলের বন্যপ্রানীর কোন ক্ষয়ক্ষতি এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, বনের অভ্যন্তরে উঁচু টিলা থাকায় সেখানে আশ্রয় নিতে পারছে বন্যপ্রানীরা। সুতরাং বন্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশংকা তেমন একটা নেই।