॥ আরজু আক্তার, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ॥
নো য়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় সোমবার( ৩০ জুন )রাতে কোস্টগার্ড ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩ ডাকাত ও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে ।তাদের কাছ থেকে পাঁচটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, ২ বোতল চেতনা নাশক ঔষধ, ২ ভরি ১২ আনা ওজনের তামার উপর স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া চুড়ি এবং ১০ ভরি ১০ আনা রুপা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজদী বাজারের ব্যবসায়ী প্রিয়া জুয়েলার্সের দোকান থেকে ২০ ভরি ৪ রতি ৮ পয়েন্ট ওজনের চোরাইকৃত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ। তিনি আরো জানান, সোমবার মধ্যরাতে হাতিয়া উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের দুর্গ এলাকায় পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। উক্ত অভিযানে এলাকার চিহ্নিত ডাকাত শামীম বাহিনীর ৩ সহযোগী ডাকাত সোহেল উদ্দিন (২৩), সুমন উদ্দিন ( ৩০) ও তাদের এক নারী সহযোগী ডাকাত পারুল বেগম (৩২) কে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, ২ বোতল চেতনা নাশক ঔষধ, ২ ভরি ১২ আনা ওজনের তামার উপর স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া চুড়ি এবং ১০ ভরি ১০ আনা রুপা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজদী বাজারের ব্যবসায়ী প্রিয়া জুয়েলার্সের দোকান থেকে ২০ ভরি ৪ রতি ৮ পয়েন্ট ওজনের চোরাইকৃত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয় এবং চোরাই মালামাল মজুদ রাখার অভিযোগে ওই দোকানের মালিক উজ্জ্বল বনিক (৪২) কে আটক করা হয়।
আটককৃত তিন ডাকাতের বাড়ি হাতিয়া উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নে এবং আটককৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি হাতিয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ওছখালী বাজার এলাকায়। ধৃত আসামি দের কে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিভিন্ন আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে হাতিয়া থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ।।