॥ আরজু আক্তার, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ॥
প বিত্র ঈদুল আজহার সরকারি ছুটিতে ও থেমে থাকেনি হাতিয়া উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরী স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম । গত ৫ জুন ২০২৫ থেকে ১৪ জুন২০২৫ পর্যন্ত ঈদুল আজহার ছুটি থাকলেও গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা, কিশোর কিশোরী স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা কার্যক্রম চলমান ছিল।বাজারের দক্ষিণ মাথায় আমাদের বিএনপি এই পাঁচজন দোকানে বসে চা চক্র এবং কথাবার্তা বলছিল। অতর্কিত উত্তর দিক থেকে এসে আলমগীর কবির, নিজাম চৌধুরী ও শামীমদের ঘাটের লেবাররা হামলা চালায়। কোনোপ্রকারের উস্কানী ছাড়াই তারা এ হামলা চালিয়েছে
হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটির মধ্যেও ৪১ জন গর্ভবতী নারীকে স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদান করা হয়েছে । এছাড়া কেন্দ্রগুলোতে জরুরি ১৫৬ জনকে প্রসব পূর্ব সেবা, ৮৯ জনকে প্রসব পরবর্তী সেবা , ৫৬ জনকে শিশু সেবা, ৪৬ জনকে কিশোর কিশোরী সেবা, ৪১ জনকে পিপিএফপি সেবা, ১২৩ জনকে সাধারণ রোগী সেবা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এসব সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা ঈদের ছুটি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেবা গ্রহণকারী স্থানীয় একজন নারী বলেন, ঈদের ছুটিতে যখন চারিদিকে সব বন্ধ , তখন এমন জরুরি সেবা পেয়ে আমরা ভীষণভাবে উপকৃত হয়েছি।
হাতিয়া দ্বীপের জন্য এটা খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। হাতিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, গর্ভবতী মা ও নবজাতকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের ছুটিতেও আমরা নিশ্চিত করেছি যেন কোন মা ও শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। আমাদের টিম আন্তরিকভাবে কাজ করেছে, ফলে প্রত্যেক সেবা গ্রহীতা প্রয়োজনীয় সহায়তা পেয়েছেন । এই কাজ করতে পারা আমাদের জন্য আনন্দের ও গর্বের বিষয়। তিনি আরো বলেন, আমাদের নিয়মিত তদারকী ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।