Monday , 8 December 2025

মোংলা থেকে কয়লা পাচারের সময় ট্রাক জব্দ, আটক দুই চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ

॥  মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥

মোং লায় বন্দরের বানিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা ও সুন্দরবনের গোলপাতাগাছের চারা বোঝাই দুইটি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। ৭ ডিসেম্বর রাতে মোংলা ফেরিঘাট পার হয়ে যাওয়ার সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ট্রাক দুটি আটক করে।

এসময় একটিতে খনিজ কয়লা বোঝাই ট্রাক যার নং- যশোর-ট-১১-২৬১৮ পরিবহনের জন্য অবস্থান করছে এবং অন্যটিতে সুন্দরবনের গোলপাতা গাছের চারা রয়েছে। পরে পুলিশ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ওই এলাকায় পৌছালে চোরাকারবারী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে ৪ জনকে আটক করে, আর বাকিরা পালিয়ে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হলেও গোলপাতা গাছের চারা বোঝাই একটি ট্রাক ও সংশ্লিষ্ট ২ জনকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর কয়লার সাথে জড়িত দুই পাচারকারীকে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৭ চোরাকারবারীকে আসামী করে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, গোপানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে জানতে পারে মোংলা পোর্ট পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন মোংলা নদী পারাপারের ফেরিঘাট এলাকা দিয়ে দুটি ট্রাকে অবৈধ পন্য রয়েছে এবং তা পাচার হয়ে অন্যাত্র চলে যাচ্ছে। এমন তথ্যের সুত্রধরে ওই এলাকায় অভিযান চালায় মোংলা থানা পুলিশ।

এসময় একটিতে খনিজ কয়লা বোঝাই ট্রাক যার নং- যশোর-ট-১১-২৬১৮ পরিবহনের জন্য অবস্থান করছে এবং অন্যটিতে সুন্দরবনের গোলপাতা গাছের চারা রয়েছে। পরে পুলিশ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ওই এলাকায় পৌছালে চোরাকারবারী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে ৪ জনকে আটক করে, আর বাকিরা পালিয়ে যায়।

তবে একটি ট্রাকে সুন্দরবনের গোলপাতা গাছের চারা বোঝাই ট্রাক ও আটক ২ জনকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। বাকি আটক দুই কয়লা চোরাকারবারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোংলা বন্দরের জাহাজ থেকে ৮ মেট্রিক টন ১০০ কেজি কয়লা সহ বন্দরের বিভিন্ন পন্য চুরি ও পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে এবং তাদের সাথে জড়িত অন্যান্যদের নাম পরিচয় প্রকাশ করে বলে জানায় পুলিশ।

এঘটনায় মোংলা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক এস আই এস এম হাবিবুল্লাহ বাদি হয়ে আটককৃত আসামী মোঃ মিনারুল ইসলামের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম (৪৮), আউয়াল হাওলাদারের ছেলে মোঃ আলামিন হাওলাদার (৩৬), তাদের বাড়ি পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের সিগনাল টাওয়ার বেড়িবাধ এলাকায়।

এছাড়া পলাতক আসামী দ্বিগরাজের ট্রান্সপোর্ট এর মালিক রানা মাতুলার (৪৫), সেকেন্দার আলীর ছেলে মোঃ জাহিদ (৩৯) ও সুলতান হাওলাদারের ছেলে মোঃ জাকির হাওলাদার, (৩৮) ও চরকানা এলাকার বাবলু কে আসামী করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পাাারকারীদের বাড়ি মোংলা উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়নের কাইনমারীর কানাইনগর এলাকায় বলে জানা গেছে।

মোংলা থানার ওসি তদন্ত মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, বেশ কিছু দিন যাবত মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন থেকে বনের সম্পদ ও বন্দরের মালামাল পাচার হচ্ছে এমন গোপন খবর রয়েছে প্রশাসনের কাছে। পাচাঁর বা চোরাকারবারীদের আটকরে জন্য গোয়েন্দা নজরদারীও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাই এ অভিযানের সফলতা কয়লা বোঝাই ট্রাক ও পাচারকারী আটক।

এছাড়া মামলার বাহিরেও এর সাথে পাচাঁর বা পাচারকারীদের সহায়তার করার জন্য আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তারও তদন্ত চলছে। আর কয়লা পাচারের সাথে আটক দুই জনকে মামলা দায়ের শেষে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে, তাদেরও গ্রেফতার করে আইনের কাছে সোর্পদ করা হবে বলে জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।

Check Also

সিরাজগঞ্জ চেম্বার নির্বাচনে “পরিচালক”পদে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন ” শরিফুল ইসলাম আলামিন

॥  শাহ আলম,  সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥ শ নিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ এক যুগ পর সিরাজগঞ্জ ব্যবসায়ীদের …