॥ শাহ আলম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥
সি রাজগঞ্জের সলঙ্গায় বসত বাড়ির জায়গা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের স্ব-সশস্ত্র হামলায় নারীসহ ২জন গুরুতর আহত ঃ আহত ২জনকে মুমুর্ষু অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ সজ্জা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার (১৬ মে ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সলঙ্গা থানার ধুবিল মেহমানশাহী গ্রামে।
এতে আবু হানিফ ও তার লোকজন আব্দুল মান্নান গংদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরে নিরুপায় হয়ে আব্দুল মান্নান এর মেয়ের জামাতা মোক্তার হোসেন জীবনের নিরাপত্তার জন্য কোর্টে ১০৭ ধারার একটি মামলা করেন।
সলঙ্গা ধুবিল মেহমানশাহী গ্রামের আবু হানিফ আকন্দ গংদের সাথে বসতবাড়ির জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবেশী আব্দুল মান্নান, আব্দুল হাকিম ও মোক্তার হোসেনদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এদিকে এ বিরোধকে কেন্দ্র করে আবু হানিফ ও তার লোকজন আব্দুল মান্নান, আব্দুল হাকিম ও মোক্তার হোসেন গংদের উপর দফায় দফায় হামলা করে।
এঘটনায় সম্প্রতি আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে আবু হানিফ এর লোকজনকে আসামি করে কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। এতে আবু হানিফ ও তার লোকজন আব্দুল মান্নান গংদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। পরে নিরুপায় হয়ে আব্দুল মান্নান এর মেয়ের জামাতা মোক্তার হোসেন জীবনের নিরাপত্তার জন্য কোর্টে ১০৭ ধারার একটি মামলা করেন। এরই একপর্যায়ে সেই ১০৭ ধারা মামলার আসামীদের ধার্য্য তারিখে কোর্টে হাজির হওয়ার জন্য আজ শুক্রবার (১৬মে) কোর্ট নোটিশ জারি করে।
এদিকে নোটিশ জারি করে কোর্টের ম্যাসেঞ্জার চলে যাবার পরোক্ষনেই আবু হানিফ ও তার লোকজন শুক্রবার (১৬মে) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আব্দুল মান্নান ও তার মেয়ের জামাতা মোক্তার হোসেন এর উপর অতর্কিত হামলা চালায় ও মারপিটসহ রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তাদের চিৎকার শুনে মোক্তার হোসেন এর ভাবী মনিজা খাতুন(৩৫) এগিয়ে গিয়ে হামলাকারীদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে। এতে হামলাকারীরা মনিজা খাতুনের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বর্বরোচিত হামলা চালায় ও বেধড়ক মারপিট করে। এসময় তাদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মনিজা খাতুনের মাথা রক্তাক্ত জখম হয়।
এদিকে আহত মনিজা(৩৫) ও আব্দুল মান্নান (৭৪)’কে হাসপাতালে নেবার পথে হামলাকারীরা তাদের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পরে ৯৯৯এ কল করার পর পুলিশের সহায়তায় মুক্ত করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।