॥ শেখ রানা, দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ছোট বক্সনগর পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে হেলাল মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। ঘটনায় নিশ্চিত করে পুলিশ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বলে জানা যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।রোববার ভোরে উপজেলার বক্সনগর ইউনিয়নের ছোট রাজপাড়া এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে থানা পুলিশ হেলাল মিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়।
দুর্বৃত্তরা তাকে গামছা দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। সকালে তার মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। আমরা পুলিশকে জানালে বাবার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়।
নিহত হেলাল মিয়া ছোট রাজপাড়া গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহত হেলাল মিয়ার ছেলে আসিফ মিয়া বলেন, বাবার শখ ছিলো মাছ ধরার। সময় পেলেই নদী, খাল ও পুকুরে মাছ ধরতেন। শনিবার বাবা আর আমি বাড়িতে ছিলাম। রাতে মাছ ধরার জন্য কারা যেন বাবাকে ফোন করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
রাত ১২টার পর ছোট রাজপাড়া এলাকার আজহারের পুকুরে মাছ ধরতে যান বাবা। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে গামছা দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। সকালে তার মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। আমরা পুলিশকে জানালে বাবার মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়।
আসিফ মিয়া আরও বলেন, মাছ ধরা নিয়ে তার বাবার সাথে কিছু লোকের পূর্ব শত্রুতা ছিলো। বাবার মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিছু লোক মাছ ধরা নিয়ে বাবাকে বিভিন্ন সময় হত্যারও হুমকি দিয়েছিলো। হুমকি দাতারাই আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করেন।
হেলাল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। নিহত হেলাল মিয়া ছোট রাজপাড়া গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন বলে জানা গেছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ মাছ ধরার ঘটনা নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে জানিয়ে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন।
হেলাল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।