॥ আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে অস্ত্র ঠেকিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎকের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোববার বেলা আড়াইটার দিকে গোয়ালন্দ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মো. আব্দুল গনির (অব. পুলিশ) ছেলে মো. রনি ও পরে ৩নং ওয়ার্ডের কুমড়াকান্দি গ্রামের মো. সামছুর ছেলে মো. এমরন হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় সোমবার সকাল ১০ টা থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত হাসপাতালের বহিবিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিল। এতে বিপাকে পড়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা।
আমি শনিবার দিন দুপুর ২টা থেকে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলাম। রাত সাড়ে ১১ টার পর দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে হঠাৎ করে আমার মাথায় পিস্তল ও পেটে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে এবং হাতে ও মাথায় আঘাত করে আমার মানিব্যাগে থাকা নগদ ৬ হাজার টাকা, ব্যবহত একটি স্মর্ট মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়।
জানা যায়, রবিবার (৮ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে কর্তব্যত্বরত থাকাকালীন সময়ে উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ জরুরী বিভাগের পাশের একটি কক্ষে বসে ছিলেন।
এ সময় দুজন দুর্বৃত্ত ওই কক্ষে প্রবেশ করে তার উপর অতরর্কিত পিস্তল ও ধারালো ছুড়ি ঠেকিয়ে তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ও তার ব্যবহত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তারা তাকে তার কক্ষ বাইরে থেকে আটকে দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি চিৎকার করলে হাসপাতালের অন্যান্য স্টাফরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে উপস্থিত হয় থানা পুলিশের একটি টহল দল। এসময় পুলিশ সাথে নিয়ে ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে কিছুদুর এগিয়ে গিয়ে ছিনতাই হওয়া ফোনে রিং দিলে খোয়া যাওয়া ফোনটি বেজে ওঠে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেপয়ে ছিনতাইকারি পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি শনিবার দিন দুপুর ২টা থেকে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলাম। রাত সাড়ে ১১ টার পর দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে হঠাৎ করে আমার মাথায় পিস্তল ও পেটে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে এবং হাতে ও মাথায় আঘাত করে আমার মানিব্যাগে থাকা নগদ ৬ হাজার টাকা, ব্যবহত একটি স্মর্ট মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। আমি এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।’
এ ঘটনায় পুলিশ রোববার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা করতে গেলে দেখা যায়, সিসি টিভির ফুটেজ ধারনের কেবল ডিভাইজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা রয়েছে।
এ বিষযয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ মোহাম্মদ শরিফ জানান, সিসি টিভির ফুটেজ বিচ্ছিন্ন এবং সম্প্রতি পর পর কয়েকটি ঘটনায় মনে হচ্ছে এ সকল ঘটনায় হাসপাতালের কেউ যুক্ত থাকতে পারে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঘটনা ঘটার কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে পুলিশ পৌঁছে যায়। এবং জড়িতদের প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করে।