Saturday , 21 December 2024

মোংলায় বিভিন্ন পন্যের ইকো মেলা

॥ বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥

মোংলায় রাসয়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার দিয়ে কৃষি উৎপাদনকৃত সাক-সবজী ও বিভিন্ন ফলমুলের পশড়া বাসিয়ে দিনব্যাপি ইকো মেলা ও পন্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) সুন্দরবন ইউনিয়নের বুরবুড়িয়া বাজার মাঠ প্রাঙ্গনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর সাসটেনেইবেল ডেভেলপমেন্ট (বিএএসডি)’র আয়োজনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

 

শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে পরিবারের লোকজন গাছে লাশ ঝুলতে দেখে ডাকচিৎকার শুরু করেন। এতে লোকজন জড়ো হলে পরে লাশটি নামিয়ে ৬টা ৫০মিনিটের সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তারা।

এ মেলায় নারী ও পুরুষদের উৎপাদিত রাসয়নিক সার ও কিটনাশক ব্যাবহার না করে নিজেদের হাতে তৈরী করা জৈব সার দিয়ে উৎপাদিত সাক সজবী ও ফল সহ বিভিন্ন কৃষি নিয়ে আয়োজন করা হয় ইকো মেলা। এখানে এসকল কৃষিজাত পন্য নিয়ে ১২টি গ্রামের ২৪ টি দলের স্টল ছিল। বেসরকারী সংস্থা বিএএসডি মোংরা এলাকার মাটি, পানি, বায়ু ও আগুন এ ৪টি বিষয়ের উপর দীর্ঘদিন থেকে “শুধু একটাই পৃথিবী” এ প্রতিপাদ্যে সামনে রেখে কাজ করছে এ সংস্থা। মোংলা উপজেলার সুন্দরবন, চিলা ও দাকোপের পরিবেশ বান্ধব দলের সদস্য বৃন্দদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন। ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফুট সিকিউরিটি (সিসিআরএফএস) প্রজেক্ট এর সহায়তায় সোমবার সকাল থেকে উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয় ইকো মেলা প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীরা বিভিন্ন পণ্য দেখেন প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন পরে বিএএসডি’র উদ্যোগে এমন আয়োজনে খুশি আগত দর্শনার্থীরা।

ইকো মেলায় জ্যোতি হালদালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন উপজেলা র্বিাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ। বিষেশ অতিথি চিলা উইপি চেয়ারম্যান গাজী আকবার হোসেন, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাত জাহান সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সাগত বক্তব্য রাখেন প্রজেক্ট ম্যানেজার পরিতোষ কুমার মৃধা। মেলা পরিদর্শন শেষে সমাজের বৈষম্য নিরসনে ও নারী অধিকার উপলক্ষে জারিগান পরিবেশন করা ও পুরুস্কার বিতারণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, মোংরা উপজেলা ও উপকুলীয় এলাকায় লবনাক্ততা বেড়েই চলছে। তাই ধান, শাক-সবজী সহ কোন কৃষি ভাল হচ্ছে না। যতটুকু হচ্ছে তার মধ্যে কিটনাশক ও রাসয়নিক সার ব্যাবহার করছে কৃষকরা। তাই বেসরকারী উন্নিয়ন সংস্থা বিএএসডি দীর্ঘদিন থেকেই রাসয়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার তৈরী করছে এবং তা দিয়ে সবজী ও ফলমুল সহ বিভিন্ন কৃষি উৎপাদন করছে এলাকাবাসী। এটা নিয়ে পুরো উপজেলায় সারা ফেলছে সকলের মাঝে। বাজার থেকে নিজ হাতে সাক-সবজী ও মাছ মাংস সহ যা কিছু কিনে আনছি সবকিছুই বিশ যুক্ত। সেখান থেকে আমাদের ফিড়ে আসার এখনই সময়, যদি সুস্থ্য থাকতে চাই এবং আগামী প্রজন্মকে বাচাতে হলে কিটনাশক ও রাসয়নিক সার আমাদের এখনই বর্জন করতে হবে ।

Check Also

বস্তায় আদা চাষে সফল রত্না, এবার ঝুঁকেছেন আলু ও পেঁয়াজে

॥ এম আরিফুল ইসলাম, সলংগা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চকরসুল্লাহ গ্রামের …