॥ শেখ রানা, দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
ঢাকা দোহার উপজেলার জয়পাড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় রোজিনা আক্তার (৩৭) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত রোজিনা আক্তার দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আন্তা গ্রামের মো.মহিউদ্দিনের মেয়ে।
আল্লায় তার বিচার করুক”। নিহত রোজিনার ভাই মাকসুদুর রহমান বলেন, যে যাবার সে তো চলেই গেছে। আমার মতো আর কারও বোন যেন এমন ভুল চিকিৎসার স্বীকার না হয়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, (১৮ মে) বৃহস্পতিবার দুপুরে রোজিনা তার ভাবি সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে দোহার উপজেলার জয়পাড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত চেক আপ করাতে যায়। এরপর ডাক্তার শরীফ নাজমুন নাহার রোজিনা কে আল্ট্রা করতে পাঠায়। রোজিনা আল্ট্রা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় ডাক্তার শরীফ নাজমুন নাহারের কাছে গেলে ডাক্তার রোজিনার রিপোর্ট ভাল না বলে ভর্তি করান ও সেদিনই সিজার করাতে চাপ প্রয়োগ করেন।
এরপরে রোগীর স্বজনরা সিজার করাতে রাজী হলে বৃহস্পতিবার বিকেলেই ক্লিনিকটিতে সিজার করানো হয় রোজিনার। এরপর বাচ্চা রোজিনার স্বজনরদের কাছে হস্তান্থর করলেও রোজিনার অবস্থা ভাল নয় বলে জানায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে তারা রোগীর জরায়ু কেটে ফেলতে হবে নয়তো রোগীকে বাচাঁনো যাবে না বলে জানায় রোগীর স্বজনদের। নিহত রোজিনার ভাবি সাদিয়া আক্তার অভিযোগ করে বলেন,
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ যদি আগেই আমাদের বলতো আমরা এখানে পারব না,তাহলে আমরা রোজিনাকে ঢাকা নিয়ে যেতাম উন্নত চিকিৎসার জন্য। কিন্ত তারা আমাদেরকে ছাড়েনি। তারা শুধু বলছে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে রক্ত লাগবে। এক পর্যায়ে তারা সাড়ে ৫টার রোজিনা কে অজ্ঞান
অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে সেখানেও রোজিনার জ্ঞান না ফিরলে রাত ৯টার পরে রোজিনা মারা গেছে বলে আমাদেরকে জানানো হয়।
নিহত রোজিনার বড় মেয়ে সামিয়া আক্তার কান্না স্বরে বলেন,আমার সুস্থ মারে মাইরা ফালাইছে,আমার মারে আমি কেমনে পামু?
আমার মায় আমার কাছে আর আইবো না। আল্লায় তার বিচার করুক”। নিহত রোজিনার ভাই মাকসুদুর রহমান বলেন, যে যাবার সে তো চলেই গেছে। আমার মতো আর কারও বোন যেন এমন ভুল চিকিৎসার স্বীকার না হয়।
এ বিষয়ে জয়পাড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো.দেলায়ার খান বলেন, সিজারের পর রক্ত ক্ষরন বন্ধ হচ্ছিলো না বিধায় রোগীকে ঢাকা পাঠানো হয়েছিলো এরপর সেখানে মারা গেছে। তবে বাচ্চাটি সুস্থ আছে বলে জানান।