॥ এ আর রাজু, উল্লাপাড়া (সিরাজঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
যেখানে সামাজিক সমালোচনা, কুসংস্কার,কারনে মেয়েরা পিছিয়ে থাকে ফুটবল খেলা থেকে সেখানে মেয়েদের ফুটবল খেলার সুযোগ করে দিচ্ছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা।উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে ফুটবল খেলার দল গঠন করে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।
সময় খেলোয়ার ও কোচ জানায় উপজেলা পর্যেয় জীম নেই ফলে তাদের শারিরীক ব্যায়াম অসুবিধা হচ্ছে,নারী খেলোয়ারদের যথাযোগ্য মর্যাদা আর সামাজিক কুসংস্কার ভেদ করতে পারলে নারী খেলোয়ার হতে পারে সম্ভবনাময় দল।
আর এ ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন কে সহযোগিতা করছে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা। মেয়েদের অনুশীলনের মাঠ ঘুরে দেখা যায়,বিদ্যালয়গামী মেয়েরা বিদ্যালয়ের শেষ করে প্রতিদিন বিকেল বেলা ফুটবল খেলার অনুশীলন করছে। তাদেরকে ফুটবল খেলা অনুশীলন করাচ্ছে ফুটবল কোচ রেজাউল করিম রনজু ও রাসেল হোসেন।
কোচ রেজাউল করিম রনজু বলেন, মেয়েরদের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে।আপনারা জানেন যে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারপরেও বাংলাদেশের অনেক ফ্যামিলি মেয়েদের কে খেলতে দিতে চায় না। কিন্ত আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন স্যার এর তত্ত্বাবধানে মেয়েদের খেলা শেখাচ্ছি।
আসলে মেয়েরা একটু লাজুক,প্রথম প্রথম আমি ওদের কে বল পুশ করাতাম বা হিট দিতাম তখন তারা ভয় পেত। আমি তখন তাদের সাথে বন্ধুত্বপুর্ন আচরণ করি। তবে নারী ফুটবলার মান্তনা মুরারী জানান,মেয়েদের ক্ষেত্রে পারিবারিক বাধার চেয়ে সামাজিক বাধা,সমালোচনা মেয়েদের ফুটবল খেলার ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা হিসেবে মনে করেন। তিনি বলে “বাড়িতে বাবা মা ,ফ্যামিলি আমাদের সার্পোট দেয়।
তবে সমস্যাটা কোথায় আমাদের সমাজ। কারন এই সমাজে মেয়ে হয়ে কেন বাইরে খেলতে যাবে এভাবে অনেক কথা বলে। আবার আত্মীয় স্বজন বলে কেন খেলতে দিচ্ছেন,বাইরে গেলে খারাপ হয়ে যাবে,বাইরে খেলতে দিচ্ছেন কেন? বাবা মা বলে কে কি বলল সেদিকে যাবে না, তোমার লক্ষ ঠিক তুমি সামনের দিকে এগিয়ে যাবা।
শ্যামলি খাতুন নামের আরেক নারী খেলোয়ার বলে এখন আমি উপজেলা পর্যায়ে খেলি আমার ন্যাশনাল পর্যায়ে খেলার ইচ্ছা। আমরা যদি সহযোগিতা পাই,ক্যাম্প পাই, প্রাকটিস পাই তবে ন্যাশনাল এ যেতে পারব।
এসময় খেলোয়ার ও কোচ জানায় উপজেলা পর্যেয় জীম নেই ফলে তাদের শারিরীক ব্যায়াম অসুবিধা হচ্ছে,নারী খেলোয়ারদের যথাযোগ্য মর্যাদা আর সামাজিক কুসংস্কার ভেদ করতে পারলে নারী খেলোয়ার হতে পারে সম্ভবনাময় দল। এসময় তারা উপজেলা পর্যায়ে ¯হায়ী মাঠ,জীমনেশিয়াম ও আবাসিক ক্যাম্পের দাবী করেন।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন,উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন কতৃর্ক একটি নারী ফুটবল দল গঠন করা হয়েছে সেই ক্লাবের অধীনে নারী শিক্ষার্থী যারা ফুটবল খেলে থাকেন। আমরা বেশ কিছুদিন ধরে তাদের ক্যাম্পিংএর ব্যবস্থা করেছি।
আমরা বিশ্বাস করি সামাজিক সংকট সকল প্রতিবন্ধকতা দুর করে তারা এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করবে। আমার বিশ্বাস এদের মাঝ থেকে সেরা খেলোয়ার বের হয়ে আসবে। আমরা উদ্যোগটি গ্রহন করেছি সকলের সহযোগিতায় আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিনির্মানে বড় ভুমিকা রাখবে।