॥ বিশেষ প্রতিনিধি ॥
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেছেন, শেখ হাসিনা যেখানেই পালিয়ে যাক ইন্টারপুলের মাধ্যমে ধরে এনে জনগণের আদালতে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে। সেই সাথে দরবেশ বাবাসহ সকল চোরদের আইনের আওতায় এনে বাংলার মাটিতে বিচার করা হবে ইনশাআল্লাহ। শেখ হাসিনা একজন খুনী। সে এদেশের হাজার হাজার জনগণকে খুন করেছে। বিএনপির ৪৬১জন নেতাকর্মীকে খুন করেছে। অনেককে গুম করেছে।
ভোট চোর শেখ হাসিনার মন্ত্রী, এমপিরা দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এমনকি শেখ হাসিনা যাওয়া সময় যে ১৩/১৪টি স্যুটকেস নিয়ে গেছে তার মধ্যেও ছিল স্বর্ণালংকার, টাকা ও বিদেশী মুদ্রা। এগুলো ফেরত এনে দেশের কোষাগারে দিয়ে দেশের উন্নয়ন করতে হবে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রচারপত্র বিলি, আলোচনা সভা এবং শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার আবু আশফাক বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে আমরা এখানে এভাবে একত্রিত হতে পারিনি। শেখ হাসিনার পেটুয়া বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আপনাদের সাথে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পাইনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। নতুন করে সুর্যোদয় হয়েছে। এ সুর্যের আলো মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের।
বর্তমান অন্তরবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, অন্তরবর্তী সরকারের কাজ নির্বাচনী মেরামত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা। অন্তরবর্তী সরকারের এতো সময় নেই। আপনাদের কাজ নির্বাচনী সংস্কার করুন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করুন এবং নির্বাচনকালীন দায়িত্বপ্রাপ্তদের সংস্কার করুন। জনগণ আপনাদের এতো সময়ের ম্যান্ডেট দেয়নি। তা না হলে, আমরা আপনাদের যে জনসমর্থন দিয়েছি। তা আপনারা হারাবেন। জনসমর্থন হারালে জনগণ আপনাদের অনাস্থা আনবে। সুতরাং আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, ‘জনগণ ক্ষেপে উঠার আগেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের যে কাজ হাতে নিয়েছেন তার সবই ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে। আপনারা যে মেরামত গুলো করতে চান তার রুপরেখা আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান ১৩ জুলাই ২০২৩ সালে ঘোষণা করেছেন। এসব কাজগুলো যদি আপনারা করতে গেলে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। অতএব জনগণের ভোট জনগণকে দেয়া সুযোগ করে দিন। তারপর নতুন সরকার আসবে, জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে। নতুন সরকার রাষ্ট্র মেরামতের নতুন কাজগুলো করবেন।
তিনি শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ভোট চোর শেখ হাসিনার মন্ত্রী, এমপিরা দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এমনকি শেখ হাসিনা যাওয়া সময় যে ১৩/১৪টি স্যুটকেস নিয়ে গেছে তার মধ্যেও ছিল স্বর্ণালংকার, টাকা ও বিদেশী মুদ্রা। এগুলো ফেরত এনে দেশের কোষাগারে দিয়ে দেশের উন্নয়ন করতে হবে।
খন্দকার আবু আশফাক উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। পরমকরুনাময় আল্লাহ’র কাছে দোয়া করবেন। তাকে যেন সুস্থ্য করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন এবং দল ও দেশের দায়িত্বগ্রহন করা তৌফিক দান করেন। আমাদের আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান আট হাজার মাইল দুরে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে তিনি দলকে সুসংগঠিত করেছেন। শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যাওয়ার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
পরমকরুনাময়ের কাছে তাঁর জন্যও দোয়া করবেন তিনি যেন স্বশরীরে দেশে এসে দেশ ও দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন। সকলে দোয়া করবো মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তাঁর কণিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোকে আল্লাহ যেনো বেহেস্ত নসিব করেন।
উপজেলা যুবদল নেতা দুর্জয় মাহমুদ সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কলাকোপা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আল মামুন।
আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন হাসান লিটু, বিএনপি নেতা- মহসিন আহমেদ তুষার, রাসেল আহমেদ লেলিন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম নিরব, সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল হক চৌধুরী রুবেল, যুবদল নেতা রুবেল তালুকদার, আবেদ হোসেন, টুলু, মনির, ফারুক, সুজন, হাবিব, সাইফুল, খন্দকার মুন্না, কাউসার, শাকিল, মিল্লাত প্রমুখ।