॥ মাসুদ রানা, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি ॥
মোংলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র আওয়ামীলীগ নেতার হাতে যুবদল কর্মী সোহাগ সহ তিন জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগষ্ট) সন্ধ্যার পর উপজেলা চিলা বাজারের বটতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে মোংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে যুবদল কর্মী সোহাগের অবস্থা আসংঙ্কা জনক। ঘটনার পর ৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখন জ্ঞান ফেরেনি বলে জানায় চিকিৎসক। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তবে যুবদলকর্মী সোহাগের অবস্থা আসংঙ্কা জনক, এখনও জ্ঞান ফেরেনি। অবস্থা উন্নত না হলে দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মোহাইমিন ইবনে মোস্তাফিজ।
ভুক্তভোগীর স্বজনর ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, সরকার পতনের ঘটনায় সোস্যাল মিডিয়া (ফেইসবুকে) লেখা-লেখি নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে আওয়ামীলীগ নেতা বেল্লাল সরদার। এনিয়ে সোহাগ ও বেল্লাল দুজনের মধ্যে বাক-বিতান্ডা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেল্লাল চিলা বাজারে এসে যুবদল কর্মী সোহাগকে এ বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করার এক পর্যায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়। পরে আওয়ামীলীগ নেতা বেল্লাল সরদার সহ আলামিন, মহসিন, গফ্ফার, ইয়াসিন, হোসেন সরদার ও মালেক সরদার ছাড়াও ১০/১৫ জন রোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেধরক মারপিট করে যুবদলকর্মী সোহাগকে।
এসময় সোহাগকে উদ্ধার করতে এসে দুই পক্ষের ৩জন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে যুবদলকর্মী সোহাগের অবস্থা আসংঙ্কা জনক, এখনও জ্ঞান ফেরেনি। অবস্থা উন্নত না হলে দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মোহাইমিন ইবনে মোস্তাফিজ। খবর পেয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি দল। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, চিলা বাজার এলাকায় একটি মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত করে আসামী গ্রেফতার সহ ব্যাবস্তা নেয়া হবে।