॥ কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নির্দেশে সাইবার ক্রাইম ইউনিট কুষ্টিয়ার সফল অভিযানে বিকাশ প্রতারক মফিজ কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২০ অক্টোবর ২০২২ এ ফয়সাল আহমেদ (২৪) কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি এজাহার জমা দেন ।সেখানে তিনি তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকি এ্যানি(২৪) সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেড হতে এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন। লোন পরিষদের টাকা চেয়ে প্রতারক শামসুর রহমান মফিজ সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক এর ম্যানেজার পরিচয় তার কাছ থেকে প্রতারণা করে ২ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে।
সেখানে কিভাবে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচা যায় এই জাতীয় ভিডিও বানিয়ে থাকে । অথচ সে নিজেই একজন প্রতারক । এই প্রতারক চক্রের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা এই বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি । এই চক্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নির্দেশে সাইবার ক্রাইম ইউনিট কুষ্টিয়া দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল ১৮ জানুয়ারি ভোর ৪টার সময় রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার চর ঝিবাড়ী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সামসুর রহমান মফিজকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
সাইবার ক্রাইম ইউনিট কুষ্টিয়া ইনচার্জ মোঃ শাহ দারা খান (পিপিএম) তিনি জানান গত ২০ অক্টোবর ২০২২ একটি অভিযোগ পুলিশ সুপারের কাছে আসে তখন পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা বিষয়টা নিয়ে তদন্ত শুরু করি।
আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি এই প্রতারক বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় ফোন করে প্রতারণা করে আসছিল । কখনো ভূমি কর্মকর্তা ,কখনো ব্যাংক ম্যানেজার, তার আবার একটি ইউটিউব চ্যানেল ও আছে।
সেখানে কিভাবে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচা যায় এই জাতীয় ভিডিও বানিয়ে থাকে । অথচ সে নিজেই একজন প্রতারক । এই প্রতারক চক্রের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা এই বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি । এই চক্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
তারা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে । সাধারন মানুষকে বলবো আপনারা সচেতন হন কোন বিষয় সন্দেহ হলে আইনি পরামর্শ ও আইনগত সহযোগিতা নিন। প্রতারক মফিজের সাথে কতথা হলে সে বলে আমি দুই বছর যাবত এই জাতীয় কার্যক্রম করে আসছি ।
এবারি প্রথম পুলিশের হাতে ধরা পড়লাম। এ সময় তার কাছ থেকে অপরাধ-কর্মে ব্যবহৃত ০৩ টি মোবাইল ফোন ,৩৪ টি সিম কার্ড ও ৪টি ক্রেডিট /ভিসা কার্ড উদ্ধার করা হয়।