॥ আবুল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ॥
রারাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৭ নং ফেরি ঘাটে পদ্মা নদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পন্যবাহী একটি ট্রাক ডুবে গেছে। সোমবার ৬ মার্চ দিনগত রাত ৯ টার সময় দৌলতদিয়ায় ৭ নং ফেরি ঘাটে এই ঘটনাটি ঘটে। ট্রাক নাম্বার (ঢাকা- ঢ ১৪-৮৮-৫৩,) সে সময় পন্টুনের উপরে থাকা লোকজন পদ্মা নদী থেকে ট্রাক চালককে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রাক টি পদ্মা নদী থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধার কারী জাহাজ হামজা মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে ১৬ ঘন্টা পর নদী থেকে উদ্ধার করে।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) জে এম সিরাজুল কবির বলেন, আমরা রাতেই খবর শুনে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ছুটে যাই। পরে ট্রাকের চালককে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
ট্রাকটির সহকারি চালক( হেলপার) পল্লব দাস বলেন, ফরিদপুর থেকে ট্রাকে পিয়াজ রসুন লোড করে ৯ টার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নং ফেরি ঘাটে এসে সংযোগ সড়ক দিয়ে ফেরিতে উঠতে গেলে ফেরির টিকিট চেকম্যান আমাদের গাড়িটি আটকে দেয় কারন পিয়াজ ও রসুনের উপরে কয়েকটি প্লাস্টিকের ড্রাম ছিলো । তখন সংযোগ সড়কের পাশেই ট্রাকটি চাপিয়ে চাকার নিচে জোগান দিয়ে হাওয়া চেক করছিলেন ট্রাকের সহকারি চালক পল্লব দাস। এ সময় ট্রাকের স্টীয়ারিংয়ে বসে ছিলেন গাড়ির চালক। পরে ট্রাকটি ফেরিতে উঠতে গেলে তখন ট্রাকটির ব্রেকে আর কাজ করছিলো না। সে সময় ট্রাকটি ব্রেকে কাজ না করায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরির পল্টন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে ডুবে যায়।
আরিচা অঞ্চলের বিআইডব্লিউটিএ’র সহ-কারী পরিচালক ও উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার কমান্ডার এস এম আজগর আলী বলেন, পদ্মা নদীতে পড়ে ডুবে যাওয়া পিয়াজ ও রসুন ভর্তি ট্রাকটি উদ্ধারের জন্য দু জন দক্ষ ডুবুরি ও দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ১৬ ঘন্টা পর প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা করে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করে।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) জে এম সিরাজুল কবির বলেন, আমরা রাতেই খবর শুনে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ছুটে যাই। পরে ট্রাকের চালককে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ট্রাকটি উদ্ধারের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে তারা সকালে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। আমরা ঘটনাস্থলে সর্বক্ষণ রয়েছি।